দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার দুঃখ কি রে হচ্ছে অজয় ভট্টাচার্যের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটির আকার খুব ছোট। গানটি মাঝারি আকারের ১২ লাইনের। গানটি সুর করেছিলেন তিমিরবরণ এবং গেয়েছিলেন পঙ্কজ কুমার মল্লিক। গানটি অজয় ভট্টাচার্যের একটি রাগপ্রধান গান।
গানটি নারায়ণ চৌধুরী সংকলিত ও সম্পাদিত রেণুকা ভট্টাচার্য প্রকাশিত এম সি সরকার এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড পরিবেশিত অজয়-গীতি সংগ্রহ কলকাতা প্রথম প্রকাশ আগস্ট ১৯৭৫ গ্রন্থের ১৩১ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে। এছাড়াও গানটি শিশির চক্রবর্তী সংকলিত পত্রভারতী কলকাতা প্রকাশিত দ্বিতীয় মুদ্রণ ডিসেম্বর ২০১৮পাঁচদশকের আধুনিক বাংলা গানের গীতবিতান এ শুধু গানের দিন গ্রন্থের ১৭১ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে।
গানের কথা
দুঃখে যাদের জীবন গড়া তাদের আবার দুঃখ কি রে?
হাসবি তোরা, বাঁচবি তোরা, মরণ যদি আসেই ঘিরে।
অন্ধকারের শিশু তোরা আলোর তৃষায় মিছে ঘোরা,
আপন হৃদয় জ্বালিয়ে দিয়ে জ্বালবি সবার প্রদীপটিরে।।
তোদের প্রাণে বন্দি হয়ে কাঁদে ভুখা ভগবান।
মুখে তবু খেলার বাঁশি যখন বুকে রয় পাষাণ।
হেলায় হেসে নিলি মরণ তাইতো মরণ পেলো লাজ,
ধুলির সাথে মিশে তোরা সোনার মতো হলি আজ।।
এবার যে রে প্রভাত আসে, রাতের আঁধার গেল টুটে,
ভোরের আলোর তিলক প’রে বাহিরপানে আয় রে ছুটে।
দুঃখ তোদের জয়ের মালা দুঃখ হলো মুকুট শিরে।
বাঁধন হলো হাতের রাখী মুক্তি এলো নয়ন-নীরে।।
একজন বিখ্যাত বাঙালি আধুনিক রোমান্টিক গানের গীতিকার ও কবি অজয় ভট্টাচার্য (জুলাই, ১৯০৬ – ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৪৩) বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রেম, আশা আর মনোবেদনার কানাগলিতে বিশ শতকের প্রথমার্ধে বিচরণ করেছেন। হিমাংশু দত্ত সুরসাগরের সুরে তাঁর লেখা গান চল্লিশ দশকের কলকাতার সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায়। বাংলা সবাক চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই তাঁর লেখা গান রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজ মল্লিক, শচীন দেববর্মণ ও অনুপম ঘটকের সুরে সারা দেশে বারে বারে উচ্চকিত হয়ে ওঠে। বাংলা গানে, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে অজয় ভট্টাচার্য্য সব থেকে বেশি গানের কলি লিখেছেন।