ভূমিকা: টিয়াস (ইংরেজি: Ptyas) কলুব্রিডি পরিবারের সাপের একটি গণের নাম। বাংলাদেশের সাপের তালিকায় বাংলাদেশে রয়েছে এই গণের ৩টি প্রজাতি এবং পৃথিবীতে রয়েছে এই গণে মোট ১৩টি প্রজাতি।
বর্ণনা: টিয়াস গণের সাপগুলোর ম্যাক্সিলারী দাঁতের সংখ্যা ২০-২৮টি, একটি অবিচ্ছিন্ন সিরিজে সাজানাে থাকে, পিছনের দিকের আকৃতি বড়। মাথা লম্বাটে, নলাকার; গ্রীবা থেকে সুস্পষ্ট পৃথক; চোখ বড়, পিউপিল গােলাকার; সাধারণত ২টি বা ৩টি লােরিয়াল শিল্ড থাকে; প্রিসাবঅকুলার ১টি, দেহ লম্বাটে, নলাকার; দেহের মধ্যভাগে ১৫-১৭ সারি আঁইশ সাজানাে থাকে, শীর্ষে পিট বা গর্ত থাকে; লেজ লম্বা, নি-পুচ্ছের আঁইশ জোড়ায় থাকে (Smith, 1943)।
টিয়াস গণে পৃথিবীতে রয়েছে এই গণে মোট ১৩টি প্রজাতি এবং বাংলাদেশে রয়েছে এই গণের ৩টি প্রজাতি। বাংলাদেশে প্রাপ্ত প্রজাতি ৩টি হচ্ছে ১. দেশি দাঁড়াশ সাপ, ২. ইন্দো-চীনা দাঁড়াশ সাপ ও ৩. সবুজ দাঁড়াশ সাপ।
তথ্যসূত্র:
১. জিয়া উদ্দিন আহমেদ (সম্পা.), বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ: উভচর প্রাণী ও সরীসৃপ, খণ্ড: ২৫ (ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ২০০৯), পৃ. ১৫৮।
ছবির ইতিহাস: দেশি দাঁড়াশ সাপের মাথার ছবিটি ভারতের মহারাষ্ট্র থেকে Dr. Raju Kasambe-এর তোলা।
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।