ইয়েমেন সাম্রাজ্যবাদ দ্বারা নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত আফ্রিকার দেশ

ইয়েমেন জনগণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র আরব উপদ্বীপের দক্ষিণে অবস্থিত। এটির অভ্যুদয় ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে ইয়েমেনী জনগণের সংগ্রামেরই ফলশ্রুতি। প্রসঙ্গত স্মর্তব্য, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকরা এদেশে প্রায় ১৩০ বছর নির্যাতন চালিয়েছিল এবং এডেনের নৌঘাঁটি প্রাচ্যশাসনের অকূস্থল বানিয়েছিল।

দেশটি এখন মধ্যপ্রাচ্যে জাতীয় গণবিপ্লবের একটি অগ্রবর্তী ঘাঁটিবিশেষ। ১৯৭৮ সালে মেহনতিদের প্রাগ্রসর অংশ নিয়ে গঠিত ইয়েমেনী সমাজতান্ত্রিক পার্টির কর্মসূচিতে সামন্তবাদ ও দাসপ্রথার জেরগুলি উচ্ছেদ, দেশের শিল্পায়ন ও কৃষকদের সমবায়ীকরণ এবং সমাজতন্ত্রের ভিত্তি নির্মাণ প্রধান কর্তব্য হিসাবে বিবেচিত হয়।

প্রজাতন্ত্রটি আয়তনের (৩ লক্ষ ৩৬ হাজার বর্গ-কিলোমিটারের বেশি) হিসাবে আলবেনিয়ার চেয়ে ১০ গুণ বড়, কিন্তু তার জনসংখ্যা (প্রায় ২০ লক্ষ) সীমিত। কৃষিই (তুলা উৎপাদন, মেষপালন) দেশের অর্থনীতির প্রধান শাখা। প্রজাতন্ত্রের বৃহৎ বন্দর ও শিল্পকেন্দ্র হিসাবে এডেন সবিশেষ উল্লেখ্য।

প্রাক্তন সুলতানদের জমি জাতীয়করণ এবং অন্যান্য সামাজিক অর্থনৈতিক সংস্কার সাধনের ফলে প্রজাতন্ত্রের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নতি ত্বরিত হয়েছে। ইয়েমেন ১৯৯০ সাল পর্যন্ত সোভিয়েত ইউনিয়ন ও অন্যান্য সমাজতান্ত্রিক দেশের কাছ থেকে জলসেচ ব্যবস্থা, মৎস্যশিল্প ও অর্থনীতির অন্যান্য শাখা এবং গণস্বাস্থ্য ও সংস্কৃতি উন্নয়নের ব্যাপারে অর্থনৈতিক ও কৃৎকৌশলগত সাহায্য পেয়ে থাকে।

তথ্যসূত্রঃ

১. কনস্তানতিন স্পিদচেঙ্কো, অনুবাদ: দ্বিজেন শর্মা: বিশ্বের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক ভূগোল, প্রগতি প্রকাশন, মস্কো, বাংলা অনুবাদ ১৯৮২, পৃ: ১৪৫।

Leave a Comment

error: Content is protected !!