লম্বা পাতা মাকাঞ্চি বাংলাদেশের পাহাড়িঞ্চলে জন্মানো গুল্ম

গুল্ম

লম্বা পাতা মাকাঞ্চি

বৈজ্ঞানিক নাম: Callicarpa longifolia Lamk., Encycl. Mett. 1: 563 (1783), সমনাম: Callicarpa lanceolaria Roxb. (1820), Callicarpa longifolia Lamk. var. lanceolaria (Roxb.) C. B. Clarke (1885). ইংরেজি নাম: Long Laveed Beauty Berry. স্থানীয় নাম: লম্বা পাতা মাকাঞ্চি
জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Edicots. বর্গ: Arecales. পরিবার: Verbenaceae. গণ: Callicarpa  প্রজাতির নাম: Callicarpa longifolia

ভূমিকা: লম্বা পাতা মাকাঞ্চি (বৈজ্ঞানিক নাম: Callicarpa longifolia) ভারবেনাসি পরিবারের গুল্ম বিশেষ। বাংলাদেশ ও ভারতে জন্মে। নানা প্রকার ভেষজ গুণ আছে এই গাছে।

লম্বা পাতা মাকাঞ্চি-এর বর্ণনা:

গুল্ম, ৫ মিটার উঁচু, অপরিণত অংশ ঘন দৃঢ় রোমশ। কান্ড সাদাটে, মসৃণ। পত্র সরল, ৫-২০ x ১.৫-২.৫ সেমি, সরু বল্লমাকার, উপবৃত্তাকার বা উপবৃত্তাকার-বল্লমাকার, শীর্ষ দীর্ঘাঘ, গোড়া কীলকাকার, অণু করাত দপ্তর, ঝিল্লিময়, উপরিতল রোমহীন।

নিম্নতল অসংখ্য ক্ষুদ্র গ্রন্থি দ্বারা। দাগযুক্ত, নিম্ন শিরা বরাবর তারকাকার রোমশ, পার্শ্বীয় শিরা মধ্য শিরার উভয় পাশে ১০ – ১৩টি, পত্রবৃন্ত ২ সেমি পর্যন্ত। লম্বা। পুষ্পবিন্যাস কাক্ষিক সাইম, অনেক-পুষ্পক, কিছুটা ছড়ানো এবং হালকা, পাতা থেকে খাটো।

পুষ্প গোলাপী বা রক্ত-বেগুনি, বৃন্তক, পুষ্পবৃন্ত গ্রন্থিযুক্ত, বিশেষত বৃতির সংযোগস্থলে। বৃতি কর্তিতা, রোমহীন। দলমন্ডল প্রায় ২ মিমি চওড়া, খন্ডক অর্ধ-সমান। পুংকেশর ৪টি, বহির্মুখী, পরাগধানী পিছনে গ্রন্থিযুক্ত।

গর্ভাশয় অপ্রকৃত ২-কোষী, প্রতি কোষে ডিম্বক ২টি, গর্ভদন্ড রেখাকার, গর্ভমুন্ড। অস্পষ্টভাবে ২-খন্ডিত। ফল ডুপ, প্রায় ২.৫ মিমি চওড়া, সাদা।

আবাসস্থল ও বংশ বিস্তার:

পাহাড়ী বন এলাকা। ফুল ও ফল ধারণ সময়কাল জুলাই-ফেব্রুয়ারি। বীজের মাধ্যমে নতুন চারা জন্মে।

বিস্তৃতি:

ভারত ও বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, বান্দরবান এবং সিলেট জেলায় পাওয়া যায় (Mia and Uddin, 2000)।

অন্যান্য তথ্য:

বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষের ১০ খণ্ডে (আগস্ট ২০১০) লম্বা পাতা মাকাঞ্চির সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এদের শীঘ্র কোনো সংকটের কারণ দেখা যায় না এবং বাংলাদেশে এটি আশঙ্কামুক্ত হিসেবে বিবেচিত।

আরো পড়ুন:  রক্সবার্গের শিয়াল বুকা বিরল প্রজাতির গুল্ম

বাংলাদেশে লম্বা পাতা মাকাঞ্চি সংরক্ষণের জন্য কোনো পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। প্রজাতিটি সম্পর্কে প্রস্তাব করা হয়েছে যে এই প্রজাতিটির বর্তমানে সংরক্ষণের প্রয়োজন নেই।

তথ্যসূত্র:

১. বি এম রিজিয়া খাতুন (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ৪৪২-৪৪৩। আইএসবিএন 984-30000-0286-0

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি flowersofindia.net থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Prashant Awale

Leave a Comment

error: Content is protected !!