ভূমিকা: মুরায়া হচ্ছে রুটেসি পরিবারের সপুষ্পক উদ্ভিদের গণের নাম। এই গণের প্রজাতিগুলো সাদা রঙের সুগন্ধি ফুল বিশিষ্ট ছোট বৃক্ষ। বাংলাদেশের এই গণের ২টি প্রজাতি আছে কারিপাতা বা বারসুঙ্গার, কামিনী।
বিবরণ: গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ, ২০ মিটার পর্যন্ত উঁচু, কন্টকহীন। পত্র একান্তর, সচূড়পক্ষল, ১-১২ জোড়া পত্রক বা কদাচিৎ একপত্রক, পত্রক একান্তর, গোড়ায় সন্ধিযুক্ত। পুষ্পবিন্যাস কাক্ষিক বা শীর্ষক প্যানিকল, সাইম বা করিম্ব । পুষ্প উভলিঙ্গ, ৫-অংশক।
বৃত্যংশ ৫টি, গোড়ায় যুক্ত। পাপড়ি ৫টি, প্রান্ত -আচ্ছাদী, রেখাকার থেকে বিবল্লমাকার। পুংকেশর ১০টি, যুক্ত, একান্তরভাবে লম্বা এবং খাটো, পুংদন্ড সরু বা কখনো নিম্নভাগ চ্যাপ্টা, পরাগধানী ছোট, ডিম্বাকার বা উপবৃত্তাকার। গর্ভাশয় অধিগর্ভ, ২-৫ গর্ভপত্রী, গর্ভদন্ড সরু, আশুপাতী, গর্ভমুন্ড মুন্ডাকার, প্রতি প্রকোষ্ঠ ১-২টি ডিম্বকযুক্ত। ফল গ্রন্থিল বেরী, ১-২ প্রকোষ্ঠযুক্ত, ১-২ বীজী। বীজ সাদা শ্লেষ্মসদৃশ রসালো অংশে লুক্কায়িত, বীজপত্র সবুজ, সমোত্তল।
তথ্যসূত্র:
১. এম আমান উল্লাহ (আগস্ট ২০১০)। “অ্যানজিওস্পার্মস ডাইকটিলিডনস” আহমেদ, জিয়া উদ্দিন; হাসান, মো আবুল; বেগম, জেড এন তাহমিদা; খন্দকার মনিরুজ্জামান। বাংলাদেশ উদ্ভিদ ও প্রাণী জ্ঞানকোষ। ১০ (১ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি। পৃষ্ঠা ১৮০। আইএসবিএন 984-30000-0286-0
জন্ম ৮ জানুয়ারি ১৯৮৯। বাংলাদেশের ময়মনসিংহে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ সম্মান ও এমএ পাশ করেছেন। তাঁর প্রকাশিত প্রথম কবিতাগ্রন্থ “স্বপ্নের পাখিরা ওড়ে যৌথ খামারে” এবং যুগ্মভাবে সম্পাদিত বই “শাহেরা খাতুন স্মারক গ্রন্থ”। বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া শিক্ষা জীবনের বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কাজের সাথে যুক্ত ছিলেন। বর্তমানে রোদ্দুরে ডট কমের সম্পাদক।