আমি জানি মিথিলাও একদিন
পা দেবে নষ্টের দুয়ারে
বাসন্তীও হয়ে যাবে পরস্ত্রী
সেজন্যই সংসার থেকে পলায়মান
এক বিপ্লবী অর্থনীতির হিসাব কষে
একজন কবি ভলোবাসার কষ্টে
দিশেহারা জীবন বয়ে ছুটছে।
গর্ভবতী কলমগুলো প্রসব করে
নষ্টের তরঙ্গায়িত শব্দমালা।
খেটে খাওয়া মানুষগুলোর
তাতে কিছু যায় আসে না।
ওরা বিপ্লব বুঝে না, অর্থনীতি বুঝে না ,
ওরা বুঝে অস্তিত্বের জন্য ঘাম।
ওদের কে বুঝাতে হবে অস্তিত্বের যুদ্ধ,
নইলে মিথিলাও পা দেবে নষ্টের দুয়ারে,
বাসন্তীও পড়ে নেবে সোনার শিকল।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি অস্তিত্বের জন্যে যুদ্ধ চাই কাব্যগ্রন্থের প্রথম কবিতা।
এনামূল হক পলাশ কবি, লেখক এবং সংগঠক। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময় কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে যুক্ত থেকে সাংবাদিকতা করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে “অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই”, “জীবন এক মায়াবী ভ্রমণ”, “অন্ধ সময়ের ডানা”, “অন্তরাশ্রম”, “মেঘের সন্ন্যাস”, “পাপের শহরে”, “জল ও হিজল”। ১৯৭৭ সালের ২৬ জুন নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদে চিরাম গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস একই উপজেলার বামনগাঁও গ্রামে। তিনি লেখাপড়া করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, সরকারী তিতুমীর কলেজ, নেত্রকোণা সরকারী কলেজ এবং গুরু দয়াল সরকারী কলেজে। ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে প্রগতিশীল বামপন্থী বিপ্লবী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কবি, লেখক ও সংস্কৃতি কর্মীদের ব্যবহারের জন্য তিনি নেত্রকোনা শহরের মালনী এলাকায় গড়ে তুলেছেন অন্তরাশ্রম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা ও আচার্য। সেই সাথে তিনি “অন্তরাশ্রম” নামে একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ প্রকাশ করেন।