কাঠলিচু বা আঁশফল গাছের পাঁচটি ভেষজ গুণ

কাঠলিচু

আশঁফল বা কাঠলিচু এটি বেশ বড় ধরণের গাছ। গাছটি প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফুট উঁচু হয়। এদের পাতা ২ ইঞ্চি থেকে ১ ফুট পর্যন্ত হয়। আর পাতা চওড়া হয় আধ ইঞ্চি থেকে আড়াই ইঞ্চি পর্যন্ত। বোটা পাতার তুলনায় বেশ ছোট হয়। আরো পড়ুন

চীনাবাদাম পুষ্টিগুণসম্পন্ন সহজলভ্য ভেষজ বিরুৎ

চীনাবাদাম (Arachis hypogea) সর্বপ্রথম আমেরিকা মহাদেশে চাষ হত। তথা হতে পৃথিবীর অপরাপর স্থানে এর চাষ প্রবর্তিত হয়। সম্ভবতঃ প্রায় ৭০ বৎসর পূর্বে বাদাম চিনদেশ হতে এই দেশে আসে বলে একে চিনাবাদাম বলা হয়।আরো পড়ুন

কালমেঘ-এর ভেষজ গুণাগুণ ও ঘরোয়াভাবে প্রয়োগ পদ্ধতির বর্ণনা

কালমেঘ

কালমেঘের সাধারণ গুণ হলো- এটি তিক্তরস, অগ্নিপীপক, রুচিকর, রেচক, বলকারক, কৃমিনাশক, জ্বরাতিসবার নাশক। ইহা কোষ্ঠ, রক্তদোষ, আমদোষ ও বিষদোষে উপকারী। কালমেঘের ব্যবহার্য অংশ হচ্ছে- সমগ্র গাছ। গাছের প্রায় সব অংশই ব্যবহার করা যায়;আরো পড়ুন

দুপুরমনি বা বনঢুলি বাগানে চাষযোগ্য আলংকারিক বর্ষজীবী বীরুৎ

দুপুরমনি

দুপুরমনি বর্ষজীবী বীরুৎ। এর উচ্চতা ১-২ মিটার পর্যন্ত হয়। এই প্রজাতির বাকল মসৃণ, সবুজাভ-বাদামী, সামান্য ছড়ানো তারকাকার লোমযুক্ত। পাতা সরল, একান্তর, দৈর্ঘ্য ৩-১৪ সেমি ও প্রস্থ ০.৫-১.৫ সেমি। পাতা দেখতে রৈখিক-বল্লমাকার, শীর্ষ সূক্ষ্মা, গোড়া স্থুলাগ্র অথবা কীলকাকার, কিনারা করাত দন্তযুক্ত, আরো পড়ুন

ব্রাহ্মী বা ব্রাক্ষ্মী লতা-এর আটটি ভেষজ গুণ ও প্রয়োগ পদ্ধতি

ব্রাহ্মী

ব্রাহ্মী (বৈজ্ঞানিক নাম: Bacopa monnieri, ইংরেজি: waterhyssop, thyme-leafed gratiola, water hyssop, herb of grace, Indian pennywor) এক ধরণের লতা জাতীয় উদ্ভিদ। ভিজা মাটিতে লতিয়ে লতিয়েই এ লতার বৃদ্ধি ঘটে। লতার প্রত্যেকটি গাঁট থেকে শিকড় বের হয়। কাণ্ড খুবই নরম এবং রসযুক্ত। গায়ে খুব সরু লোম থাকে, পাতা আধা ইঞ্চি বা আরও একটু বড় হতে পারে। কাণ্ডের বিপরীত দিক থেকে যুগপত্র জন্মায়। পাতার বোটা কাণ্ডের সাথে প্রায় লেগে থাকে। পাতার কিনারায় কোনো খাজ থাকে না। সামনের দিকটা গোলাকার এবং বৃন্তদেশ ডিমের মতো। পাতার শিরাগুলো অস্পষ্ট। আরো পড়ুন

সন্ধ্যামালতী বা কৃষ্ণকলি বা সন্ধ্যামণির পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণ

সন্ধ্যামালতী, কৃষ্ণকলি বা সন্ধ্যামণি (বৈজ্ঞানিক নাম: Mirabilis jalapa) (ইংরেজি:4 O’clock Plant, Marvel of Peru, Beauty of the Night) হচ্ছে নিকটাগিনাসি পরিবারের মিরাবিলিস গণের  একটি সপুষ্পক ঝোপজাতীয় বীরুৎ। সন্ধ্যামালতীর গুণাগুণ-এর মধ্যে পাঁচটির বর্ণনা করা হলও। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়। এই বীরুৎটি বাড়ির বা বাগানের শোভাবর্ধন করে মুলত বিকেলের শেষ থেকে। … Read more

ভাঁট বা ঘেঁটু গাছের নয়টি ভেষজ গুণাবলি ও প্রয়োগ

ঘেঁটু অথবা ভাঁট (Clerodendrum infortunatum) গুল্মজাতীয় উদ্ভিদ হলেও উচ্চতায় প্রায় চার ফুট পর্যন্ত হয়। শীতের শেষর দিকে গাছে ফুল ফোঁটে এবং গরমকালে ফল ধরে। অযত্নে বেড়ে ওঠা এই গাছে ফুল অনেকের দৃষ্টি আকর্ষন করে। এই গাছের পাতা, মূল ব্যবহার করা হয় পেটের অসুখ, চর্মরোগ ইত্যাদি রোগের ঘরোয়া ভেষজ ওষুধ হিসাবে। আরো পড়ুন

রাধাচূড়া বা লাল-রাধাচূড়া চাষযোগ্য আলংকারিক ও ঔষধি উদ্ভিদ

লাল-রাধাচূড়া

রাধাচূড়া বাহারি গাছ। রূপে উদ্যান, পার্ক, গৃহাঙ্গন, রাস্তার সংযোগ স্থলে। যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রনের জন্য তৈরি দ্বীপ, দুই রাস্তার মধ্যবর্তী ভূখন্ড বীথি, ব্যক্তিগত বাসভবন সংলগ্ন জমি ইত্যাদিতে রোপণ করা হয়। পত্র, পুষ্প ও বীজ ভারতীয় ভেষজ ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। পিষ্ট মূল শিশুদের মাংশ পেশীর আক্ষেপ নিরাময়ে কার্যকরী। ফুল গরম পানিতে ঢেলে সেই পানি থেকে উত্থিত বাষ্প নাকমুখ দ্বারা গ্রহণ করা হলে পুরাতন সর্দি, কাশি, হাঁপানি ও ম্যালেরিয়া জ্বর নিরাময় হয়। আরো পড়ুন

ভোলাটুকি বাংলাদেশে জন্মানো ঔষধি ফল গাছ

ভোলাটুকি, ভল্লাত, ভল্লাতক হচ্ছে এনাকারডিয়াসি পরিবারের সেমেকারপাস গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। ময়মনসিংহে এই ফলটির নাম বাওলা, অন্য নাম ভোলা। এটি ছোট আকারের পাতাঝরা স্বভাবের বৃক্ষ। গাছের মাথায় প্রচুর শাখা-প্রশাখা ও পাতা থাকায় তা ছাতার মতো দেখায়। আরো পড়ুন

পিপুল ফলে আছে শরীরের সাধারণ রোগ সারানোর ভেষজ গুণ

পিপুল বা দেশি পিপুল বা পিপলা বা পিপলা-মূল বা পিপুল মরিচ (বৈজ্ঞানিক নাম: piper-longum) হচ্ছে পিপারাসি পরিবারের পিপার গণের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এদের প্রধান গুণ হচ্ছে এরা শ্বাসকষ্ট উপশম করে। পিপুলের ব্যবহার রান্নায় কম হলেও নামটা অনেকেরই জানা। পিপুলকে ঔষধি হিসেবে সেবন করলে অনেক উপকার পাওয়া যাবে। পিপুল দীপন বা উদ্দীপিত করে, তীক্ষ্ণ, উষ্ণ, রুক্ষ, পিত্তকারক ও মলাবেগ করায়। কফ, বায়ু, উদর রোগ, গ্যাস, লিভারের অসুখ, গুল্ম, কৃমি, শ্বাস রোগ উপশম করে। ক্ষয় রোধ করে। মস্তিষ্কের দুর্বলতা, উগ, বাত প্রকোপ, সূতিকা রোগ, ঋতুস্রাব পরিস্কার না হওয়া, নিদ্রাহীনতা কফ, শ্বাস প্রভৃতি শারিরীক অসুবিধেতে প্রাচীন কাল থেকে ঘরোয়া ওষুধ হিসেবে পিপুল ব্যবহার করা হয়ে আসছে। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!