বাঁশি শুনে আর কাজ নাই
সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি।।
সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।
ডাকাতিয়া বাঁশি।।
ও…
শ্রবণে বিষ ঢালে শুধু বাঁশি পোড়ায় প্রাণ গরলে
ঘুচাব তার নষ্টামি আজ আমি
সপিব তারে অনলে।।
সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।
ডাকাতিয়া বাঁশি
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি।
ও…
বাঁশেতে ঘুণ ধরে যদি কেন বাঁশিতে ঘুণ ধরে না
কতজনায় মরে শুধু পোড়া বাঁশি কেন মরে না।।
চোরা দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।
ডাকাতিয়া বাঁশি
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি।
সে যে দিন-দুপুরে চুরি করে
রাত্রিরেতে কথা নাই।
ডাকাতিয়া বাঁশি
বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি ।
বাংলা ভাষার একজন সফল গীতিকার ও কবি গৌরীপ্রসন্ন মজুমদার ( ৫ ডিসেম্বর ১৯২৪ – ২০ অগাস্ট ১৯৮৬)। বিংশ শতাব্দীর বাঙালী গীতকারদের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় গৌরীপ্রসন্ন গান লিখেছেন বহুদিন। পাশাপাশি লিখেছেন অনেক চিত্রকাহিনী। তার কর্মক্ষেত্র ছিল কলকাতা ও বোম্বাই চলচ্চিত্র শিল্পকে ঘিরে। তেমনই আধুনিক বাংলা গান ও ছায়াছবির গান দুদিকেই ছিল তার সমান রচনা সামর্থ্য।
গৌরীপ্রসন্ন মজুমদারের জনপ্রিয় কয়েকটি গান হচ্ছে মাগো, ভাবনা কেন, আমরা তোমার শান্তিপ্রিয় শান্ত ছেলে, বাঁশি শুনে আর কাজ নাই সে যে ডাকাতিয়া বাঁশি, ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে, এই সুন্দর স্বর্ণালি সন্ধ্যায় এ কী বন্ধনে জড়ালে গো বন্ধু, এই মেঘলা দিনে একলা ঘরে থাকে না তো মন, কেন দূরে থাকো শুধু আড়াল রাখো কে তুমি কে তুমি আমায় ডাকো, আমার স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা থাকে, কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই, প্রেম একবারই এসেছিল নীরবে, এই পথ যদি না শেষ হয়, তবে কেমন হতো তুমি বলো তো প্রভৃতি।