আমি ছিনু একা বাসর জাগায়ে হৃদয়ের ব্যথা ছিল মিশে হচ্ছে অজয় ভট্টাচার্যের লেখা একটি আধুনিক বাংলা গান। গানটি ১২ লাইনের মাঝারি আকারের আধুনিক বাংলা প্রেমের গান। গানটি সুরকার ও গায়ক ছিলেন শচীন দেববর্মণ। গানটি অজয় ভট্টাচার্যের একটি রাগপ্রধান গান।
গানটি নারায়ণ চৌধুরী সংকলিত ও সম্পাদিত রেণুকা ভট্টাচার্য প্রকাশিত এম সি সরকার এন্ড সন্স প্রাইভেট লিমিটেড পরিবেশিত অজয়-গীতি সংগ্রহ কলকাতা প্রথম প্রকাশ আগস্ট ১৯৭৫ গ্রন্থের ১৪৯ পৃষ্ঠায় প্রকাশিত রয়েছে। গানটি রেকর্ডে প্রথম ১৯৪০ সালে বাজারে আসে।
গানের কথা
আমি ছিনু একা বাসর জাগায়ে
আমি ছিনু একা বাসর জাগায়ে
হৃদয়ের ব্যথা ছিল মিশে বায়ে।
প্রদীপে শুধানু, ‘কিছু জান কি গো?’
শুধু সে কহিল, ‘সে যে মায়ামৃগ,
কিছু তার আলো কিছু ঢাকা ছায়ে।’
কহিনু কাঁদিয়া,‘যে গান পাঠানু
শুনিলো না সে কি?’
দ্বার খুলে দেখি সে গান আমার
ফিরে এল এ কি!
কেতকী কহিল, ‘তারে কোথা পাই,
ফুটেছিনু পথে আজি ঝ’রে যাই,
দিয়ে যাই কাঁটা দিও তার পায়ে।।’
একজন বিখ্যাত বাঙালি আধুনিক রোমান্টিক গানের গীতিকার ও কবি অজয় ভট্টাচার্য (জুলাই, ১৯০৬ – ২৪শে ডিসেম্বর, ১৯৪৩) বাঙালি মধ্যবিত্তের প্রেম, আশা আর মনোবেদনার কানাগলিতে বিশ শতকের প্রথমার্ধে বিচরণ করেছেন। হিমাংশু দত্ত সুরসাগরের সুরে তাঁর লেখা গান চল্লিশ দশকের কলকাতার সংগীতপ্রেমীদের মধ্যে বিপুল সাড়া জাগায়। বাংলা সবাক চলচ্চিত্রের শুরু থেকেই তাঁর লেখা গান রাইচাঁদ বড়াল, পঙ্কজ মল্লিক, শচীন দেববর্মণ ও অনুপম ঘটকের সুরে সারা দেশে বারে বারে উচ্চকিত হয়ে ওঠে। বাংলা গানে, কাজী নজরুল ইসলাম ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পরে অজয় ভট্টাচার্য্য সব থেকে বেশি গানের কলি লিখেছেন।