ঢোল সমুদ্র বাংলাদেশে জন্মানো বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ

ভূমিকা: ঢোল সমুদ্র (বৈজ্ঞানিক নাম: Leea macrophylla) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ গুল্ম। এটি সমতলে জন্মায়। তবে বনাঞ্চলের পরিবেশ এদের জন্য উপযুক্ত। ঢোল সমুদ্র-এর বর্ণনা: বীরুৎ জাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ, লম্বা, সরু ও নমনীয় বর্ষজীবী বিটপযুক্ত, ৯০-১৫০ সেমি উঁচু। কাণ্ড দন্তর বা অর্ধ-খণ্ডিত, প্রস্থ প্রায় দৈর্ঘ্যের সমান, নিচের পত্র ৬০ সেমি পর্যন্ত লম্বা, উপরের গুলো ১৫-২৩ সেমি লম্বা, … Read more

কুরকুর জিউয়া ভেষজ গুণসম্পন্ন গুল্ম

ভূমিকা: কুরকুর জিউয়া (বৈজ্ঞানিক নাম: Leea indica) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ গুল্ম। এটি সমতলে জন্মায়। তবে বনাঞ্চলের পরিবেশ এদের জন্য উপযুক্ত। কুরকুর জিউয়া-এর বর্ণনা: গুল্ম, ১.২-৩.০ মিটার উঁচু, শাখা অনেক, সোজা, রুক্ষ, তরুণ শাখা সবুজ, মসৃণ। পত্র ৩৮-৫০ সেমি লম্বা, ২-(কদাচিৎ ৩-)টি পক্ষল, পত্রাক্ষ শক্ত, মসৃণ, পত্রক ৭.৫- ২০.০ × ৩.৮-৯.০ সেমি, আয়তাকার অথবা উপবৃত্তাকার- আয়তাকার, … Read more

পাতি বনচালতা বাংলাদেশের পুর্বাঞ্চলে জন্মে

ভূমিকা: পাতি বনচালতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Leea crispa) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ গুল্ম। এটি সমতলে জন্মায়। তবে বনাঞ্চলের পরিবেশ এদের জন্য উপযুক্ত। পাতি বনচালতা-এর বর্ণনা: গুচ্ছ আকৃতির ছোট গুল্ম, ১-২ মিটার উঁচু, বহুবর্ষজীবী মূলাকার কাণ্ড থেকে প্রতি বছরে জন্মায়। কাণ্ড কিছুটা কাষ্ঠল, সন্ধিযুক্ত, সন্ধির উপরে স্ফীত এবং শাখার সাথে একত্রিত, মঞ্জরীদণ্ড ও পত্রবৃন্ত ৬-৮টি, খাটো ঘনকুঞ্চিত পক্ষযুক্ত। … Read more

দেশি বনচালতা বাংলাদেশের অরন্যে জন্মানো গুল্ম

ভূমিকা: দেশি বনচালতা (বৈজ্ঞানিক নাম: Leea alata) হচ্ছে বাংলাদেশের ভেষজ গুল্ম। এটি সমতলে জন্মায়। তবে বনাঞ্চলের পরিবেশ এদের জন্য উপযুক্ত। দেশি বনচালতা-এর বর্ণনা : দেশি বনচালতা ছোট গুল্ম, কিছুটা শক্ত। কাণ্ড ১.৭ মিটার পর্যন্ত লম্বা, মসৃণ কিন্তু উপরে উঠা বিন্দু দ্বারা আবৃত। পত্র সরলভাবে সচূড় পক্ষল, খাটো বৃন্তযুক্ত, পত্রবৃন্ত পক্ষযুক্ত, লালচে, পত্রক ৩০ থেকে ৩৫ … Read more

আরোহী জেসমিন সপুষ্পক আরোহী গুল্ম

ভূমিকা: আরোহী জেসমিন ( বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum scandens) হচ্ছে অলিয়াসি পরিবারের জ্যাসমিনাম  গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটি ছোট আকারের ঝোপাল গুল্ম। আরোহী জেসমিন -এর বর্ণনা : আরোহী গুল্ম, নিচের দিকে বাঁকানো পত্রবৃন্তের মাধ্যমে ইহা আরোহী, কখনও ঘাসের উপর দিয়ে লতানো, শাখাসমূহ রোমশ। পাতা সরল, বৃন্তক, বৃন্ত ১.২ সেমি পর্যন্ত লম্বা, সুনির্দিষ্টভাবে সন্ধিবিশিষ্ট, ফলক ডিম্বাকার থেকে … Read more

গুচ্ছ ল্যান্টানা ভেষজ গুল্ম

ভুমিকা: গুচ্ছ ল্যান্টানা (বৈজ্ঞানিক নাম: Lantana camara) হচ্ছে ল্যান্টানা গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে দেখতে সুন্দর তবে কুট গন্ধযুক্ত। ভেষজ গুণসম্পন্ন গুল্ম। গুচ্ছ ল্যান্টানা-এর বর্ণনা: কণ্টকিত, চিরহরিৎ, আরোহী বা ছড়ানো গুল্ম, ১- ৪ মিটার উঁচু, শাখাপ্রশাখা সাধারণত ক্ষুদ্র বা অস্পষ্টভাবে রোমশ, বড়শি সদৃশ কন্টক দ্বারা স্পষ্টভাবে কন্টকিত। পত্র সরল, প্রতিমুখ-তির্যকপন্ন, ২-১০ × ১.৫-২.৫ সেমি, ডিম্বাকার থেকে … Read more

দেশি কদসুরা দক্ষিণ এশিয়ার আরোহী গুল্ম

ভুমিকা: দেশি কদসুরা (বৈজ্ঞানিক নাম: Kadsura heteroclita) হচ্ছে কদসুরা গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে সংকটাপন্ন গুল্ম। দেশি কদসুরা-এর বর্ণনা : এটি চিরহরিৎ আরোহী ও রোমহীন গুল্ম বৈশিষ্ট্যের উদ্ভিদ। শাখাপ্রশাখা ঘন সাদা, লেন্টিসেল বিশিষ্ট। পত্র ৯-১৪ × ৩- ৫ সেমি, আয়তাকার-বল্লমাকার বা প্রশস্ত উপবৃত্তাকার- ডিম্বাকার, গোড়া গোলাকার থেকে কীলকাকার, প্রান্ত হালকা দম্ভর থেকে করাত দন্তর, শীর্ষ … Read more

জলার রঙ্গন আলঙ্কারিক ছোট বৃক্ষ

ভুমিকা: জলার রঙ্গন (বৈজ্ঞানিক নাম: Ixora spectabilis) হচ্ছে রুবিয়াসি পরিবারের আইক্সোরা গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে  লাগান হয়। এই গুল্মটি বাড়ির টব বা বাগানের শোভাবর্ধন করে। জলার রঙ্গন-এর বর্ণনা : জলার রঙ্গন বৃহৎ গুল্ম বা ছোট বৃক্ষ। পত্র উপপত্রযুক্ত এবং বৃন্তক, উপপত্র ডিম্বাকার, সম্পূর্ণ দীর্ঘাগ্র, পত্রবৃন্ত ৮.৫ সেমি লম্বা, পত্র ফলক … Read more

সাদা ফুলি দক্ষিণ এশিয়ায় জন্মানো গুল্ম

ভুমিকা: সাদা ফুলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Lepidagathis incurva) হচ্ছে Acanthaceae পরিবারের লেপিডাগাথিস গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে ঔষধি উদ্ভিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সাদা ফুলি-এর বিবরণ: সাদা বা শ্বেত ফুলি একটি বহুবর্ষজীবী, প্রায় খাড়া গুল্ম বিশেষ। এটি প্রায় লোমহীন ডালপালা সহ ৬০ সেমি পর্যন্ত লম্বা হয়। ফুল সাদা,বাদামী দাগ থাকে। পাতার অক্ষে ঘন আয়তাকার-ডিম্বাকৃতির স্পাইকে জন্মানো,অথবা শাখার … Read more

একাঙ্গী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

ভুমিকা: একাঙ্গী বা ভুঁই চম্পা (বৈজ্ঞানিক নাম: Kaempferia galanga) হচ্ছে জিঞ্জিবিরেইসিস পরিবারের কেম্পফেরিয়া গণের  একটি সপুষ্পক বিরুত। এটিকে বাংলাদেশে ঔষধি উদ্ভিদ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। একাঙ্গী-এর বিবরণ: একাঙ্গী বিরুত প্রজাতির উদ্ভিদ। পাতা পুরু এবং গোলাকৃতি মাটির সাথে লেগে থাকে। বসন্তের মাঝামাঝি ছোট সুপ্ত রাইজোম থেকে নতুন পাতা গজাতে শুরু করে। শুকনো বা তাজা রাইজোম, যা খুব সুগন্ধযুক্ত, … Read more

error: Content is protected !!