পুদিনা (বৈজ্ঞানিক নাম: Mentha spicata) একটি বর্ষজীবী গাছ। এদের খুব তীব্র গন্ধ থাকে। পাতাগুলো খুব ছোট ছোট। পাতার উভয় কিনারায় করাতের মত খাঁজ কাটা থাকে। পুষ্পদণ্ড খুবই নরম। বহির্বাস লোমযুক্ত এবং পুস্পস্তবকের মধ্যে থাকে। এ গাছের চাষ করা হয়। পুদিনার তেল তার সুগন্ধির জন্য ব্যবহৃত হয় এবং এটাকে পুদিনার তেল হিসাবে উল্লেখ করা হয়।
বিভিন্ন অসুখে ব্যবহার:
১. পেট ফাঁপায়: পুদিনা গাছের শুকনা পাতা ও ডাল ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা ঠাণ্ডা পানিতে ভিজিয়ে সে পানি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে ছেকে খেলে পেট ফাঁপায় উপকার হয়।
২. কামলা রোগে: এ রোগে ১০ গ্রাম পুদিনার শুকনা ডাল এক গ্লাস ঠাণ্ডা পানিতে ৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে সকালে খালি পেটে অর্ধেকটা এবং দুপুরে অর্ধেকটা খেলে রোগের উপশম হয়। তবে দিন সাতেক নিয়মিত খেতে হবে।
৩. বমি বন্ধ করতে: পুদিনার টাটকা পাতা ১০ গ্রাম পরিমাণ পানিতে বেটে খেলে বমি বন্ধ হয়ে যায়।
৪. লু লাগলে: এক গ্রাম পুদিনা পাতার রস দিয়ে তৈরি শরবত খেলে আর লু লাগার কোনো আশঙ্কা থাকে না। কারণ পুদিনার সব থেকে বড় গুণ হলো উত্তাপ নাশ করতে পারে।
৫. দাঁতের রোগে: যে কোনো ধরনের দাঁতের রোগে শুকনা পুদিনা গাছের ছালকে গুঁড়া করে দিনে দু’বার দাঁত মাজলে দাঁতের রোগ ভালো হয়ে যাবে।
৬. মূর্ছা রোগে: পুদিনার টাটকা ফলের গন্ধ মূর্ছা যাবার পর রোগীর নাকের কাছে ধরলে খুব তাড়াতাড়ি জ্ঞান ফিরে আসে।
৭. প্রস্রাব কমলে: অনেক সময় শরীরে পানির অভাব ঘটলে অথবা কড়া মাত্রার এ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খেলে প্রস্রাব যেমন পরিমাণে কমে, তেমনি প্রস্রাবের রং লালচে ধরনের হতে থাকে। পুদিনা পাতা বিশটি বেটে রসসহ তারপর এক গ্লাস পানি পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়বে এবং রং স্বাভাবিক হবে।
তথ্যসূত্র:
১. আঃ খালেক মোল্লা সম্পাদিত;লোকমান হেকিমের কবিরাজী চিকিৎসা; মণিহার বুক ডিপো, ঢাকা, আক্টোবর ২০০৯; পৃষ্ঠা ৬৫
অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, গবেষক ও চিন্তাবিদ। তাঁর প্রথম কবিতার বই পৃথিবীর রাষ্ট্রনীতি আর তোমাদের বংশবাতি প্রকাশিত হয় ২০০৪ সালে। তাঁর মোট প্রকাশিত গ্রন্থ ১২টি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত তাঁর সমাজতন্ত্র ও মার্কসবাদ গ্রন্থ দুটি পাঠকমহলে ব্যাপকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২০১০ সালে সম্পাদনা করেন বাঙালির গণতান্ত্রিক চিন্তাধারা নামের একটি প্রবন্ধগ্রন্থ। তিনি ১৬ জুন, ১৯৭৭ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি লেখাপড়া করেছেন ঢাকা কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০০০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে এম এ পাস করেন।