রুপালী সভ্যতার সুর

শুকনো পাতা ঝরা দিন চলে যায় হাওয়ার মতোবেঁচে থাকার যত মায়া উবে যায়হাওয়ার মতো,কোনো খাপছাড়া ক্ষোভ, অভিমান, ক্রোধঘণ্টার হয়ে টুং টুং বাজতে থাকেতোমার অপ্রকাশিত মনে।একবার অরণ্যে পা দিয়ে দেখোজীবনের স্বাদ এখানেই,ছোট ছোট আদরকে মুক্ত করে দেখোভালোবাসার তৃপ্তি এখানেই। খড় কুটো ছেড়ে মেঘ হয়ে ভাসব বলেসীমান্ত পেড়িয়ে তোমার কাছে আসা,পাহাড় ঘেসে যে বাড়ি তোমার-সেখানে বাগান করব … Read more

ক্লান্তি মুছতে স্মৃতিরা তোমার দ্বারে

কবিতা হতে পারে মেঘলা দিনের হাওয়ার মতোপ্রিয় স্মৃতি নিয়ে তোমার আশেপাশে বেহালার সুর হয়ে ঘুরবেমধ্যদুপুরে ভাতঘুমের মতো চোখে নেশা হয়ে থাকবেবা ফিসফিস করে কানে এসে মোহিত কথা শুনাবে। প্রকৃতি থেকে ঘুম যখন বুনোফুলের গা ঝেড়ে তোমার ঘরে আসেতখন দেখবে জীবন কত সুন্দর, দিনের ক্লান্তি মুছে দিতে সে এসেছে তোমার নীড়েযখন দেখবে বসন্ত বোমার মতো ফেটে … Read more

এক অনাত্মীয় নগরবাসী গান

হেমন্তের রাত আজকাল বড্ড নিষ্ঠুর আর একাকিত্তে চলে যায়অনাত্মীয় দিন যেমন ভবঘুরে হয়ে ছুটে,আমরাও ঝাউয়ের শাখার মতো কুটিল নাগরিক জীবন থেকেকিছু পেতে চাই। ছাদে টবের মরিচ গাছের পাতার ফাঁক দিয়ে শিরশির হাওয়াআবর্জনা মঞ্চের পাশ দিয়ে লাউ পটলের হকারের হাঁকমন্থর ঘণ্টা বাজানো বালকের খেলার মাঠআমাদের মনে করায় সাঁওতাল পাড়ার উদ্দাম। হঠাৎ মহুয়ামাখা বাতাস এলো আমাদের শহরেতোর … Read more

অলিখিত পঞ্জিকার গপ্পো

কোন সাল এটা? জানার দরকার নাই!তোমরা শুধু দেখে যাও ধ্বংসস্তূপ নির্মাণকারীর কাজওরা সুশৃঙ্খলভাবে অন্ধকারময় ধৈর্যশীল জীবন রচনা করে,তারা গীত গায় তোমাদের একাকীত্ব বাড়ানোর জন্যওরা কাছে আসে, মধুর প্রলাপ গায় এবং আবর্জনাস্তূপে নিয়ে যায়আর মগজহীন দেহ বানিয়ে কুঠরিতে সাজায়।এই সবকিছুই একদিন অভ্যাস হয়ে যায় আধুনিক সভ্যদেরসিসাময় জীবনকে স্বাগত জানায়উজ্জ্বল কংক্রিটকে স্বাগত জানায়পরাজিত যৌবনকে স্বাগত জানায়। ধরে … Read more

কুমোরপাড়ার চাঁদ ও বাঁশিওয়ালা

কুমোরপাড়ায় চাঁদ ছিলো সেদিন/ মাটির পটগুলোতে নকশার আঁকিবুঁকি চলছিলো,/ আবহাওয়া মোহনীয় ছিলো
আঁধার ছিলো না কোনো গলিতে।/ ময়ূরাক্ষীর মতো কিশোর-কিশোরীদের চোখজোড়া/ খড়কুটো নিয়ে খেলছিলো,আরো পড়ুন

একটি মোমের আলো ও হেমাঙ্গের গান

শহর জুড়ে আজ লোডশেডিং/ জানালার কাচ ঠেলে মোমের আলো উঁকি দেয়,/ তাই আমাদের ঘরে ফুলকি হয়ে খেলছে/ একটি মোমবাতি ও হেমাঙ্গের গানে। আরো পড়ুন

বরুণ ফোঁটা দিনে

বরুণ

বরুণের মতো প্রান্তরকে ছেয়ে দিব বলে/ আমার অপেক্ষা করেছি এক দশক,/ তাই আজ সীমানা পেড়িয়ে আসা হাওয়ারা-/ ডেকে এনেছে আবির মেশানো ভালোবাসা।আরো পড়ুন

আবারো স্বাগত তোমায় রঙিন মিছিলে

এখন বসন্ত তোমার দুয়ারের কড়া নেড়েই চলে যায়-/ তুমি হকার ভেবে এক ধাপও এগিয়ে আসো না,/ খবরের কাগজে মুখ গুজে বিশ্বের খোঁজ নাও-

নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে

কল্পলোক হচ্ছে নিখুঁত সমাজ

নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে আমাদের হাতগুলো মেহনতে পুষ্ট হয়। মৃত্যুকে মাথায় নিয়ে পথ চলতে গিয়ে দেখা হয় স্বাধীন ও সাহসী ঘাসেদের সাথে; শিশিরেরা খেলা করে, শিশুরাও যুদ্ধে যুদ্ধে ধান ভানে, জীবনের তর্ককে বুঝে নিতে আবেগের আতিশয্যে যে গেরিলা হেঁটে যায় কমিউনের সিঁড়ি বেয়ে, তার সাথে কথা হয় জয়-পরাজয়ের। আরো পড়ুন

একটা ফুলকি ছুঁয়ে যাক আমাদের শরীর

একটা অজানা শক্তির ফুলকি ছুঁয়ে যাক আমাদের শরীর খসে পড়ুক লেগে থাকা কৃত্রিম রং নিজেদের আবার শোধন করি সূর্যে স্নান করে যদিও জানি আমাদের স্বাদ ভিন্ন পছন্দ বিচিত্র, চাওয়া পাওয়া অসীম তারপরও অজানা শক্তির ফুলকি ছুঁয়ে যাক আমাদের শরীর আমাদের সব ভিন্ন স্বাদ, পছন্দ, আকাক্ষার বীজ একত্রিত হয়ে অঙ্কুরিত হোক এক বিপ্লবী ক্ষেত। ৮.৪.২০১৭ ত্রিভুবন … Read more

error: Content is protected !!