নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে

কল্পলোক হচ্ছে নিখুঁত সমাজ

নায্যতার রাজ্য স্থাপনের দিকে যেতে যেতে আমাদের হাতগুলো মেহনতে পুষ্ট হয়। মৃত্যুকে মাথায় নিয়ে পথ চলতে গিয়ে দেখা হয় স্বাধীন ও সাহসী ঘাসেদের সাথে; শিশিরেরা খেলা করে, শিশুরাও যুদ্ধে যুদ্ধে ধান ভানে, জীবনের তর্ককে বুঝে নিতে আবেগের আতিশয্যে যে গেরিলা হেঁটে যায় কমিউনের সিঁড়ি বেয়ে, তার সাথে কথা হয় জয়-পরাজয়ের। আরো পড়ুন

সুন্দরের স্বরূপ সন্ধানে অবিশ্রান্ত সন্ত

সুন্দরের কাঁটাবনে হাত-পা-শরীর রক্তস্নাত। তবু সে অমাবশ্যার কালো রাতে ধুলো ভরা চোখে ধরতে চায় অরূপ জোনাকি। সুন্দরের গোলকধাঁধাঁয় কেটে যায় জীবন প্রহর। নগরের কানাগলি ছেড়ে নরসুন্দার কিনারে হৃদয়ের দুর্গম গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকে অবিশ্রান্ত সন্ত। আরো পড়ুন

দশ আঙ্গুলের স্পর্শে একটি প্রত্যাশিত দিন

তারা জানেনা জন্ম নেওয়ার পড়ে তাদের কি পরিচয় হবে,/ শুধু জেনেছে দুঃখ-কষ্ট, ক্ষুধা-দারিদ্র, যুদ্ধ-দখল দেখতে হবে,/ তাদের জীবিত দিনগুলো কি তারুণ্যে কাটবে?/ নাকি আঘাত আর যন্ত্রণায় কাটবে?/ যাই ঘটুক না কেনো শুধু জানে একটি ঘুর্ণায়মান চাকা চালু হবে,/ তাই আপনারা হাতে নরম কাদা নিন, তারপরে সেটা চাকা উপর রাখুন। আরো পড়ুন

সদাগরি অফিস

গঙ্গা কইতরও ওড়ে, জলের ভেতরে নড়ে ছোট ডানকিনা, একদিকে সমুদ্র আর অন্যদিকে বাবুর আঙিনা, সাহায্য করেছ বাবু, মুক্তিযুদ্ধে নিয়েছ দক্ষিণা, তাই, আজ চাও পুরো জলাভূমি, জলাবনের মালিকানা,/ পাখনায় লেগেছে আঘাত, চাবুকও বসেছে বুঝি হৃদ পাথারে, একটু হাঁড়ির ভাত, দুই ধর্মে ভাগাভাগি করে, খেয়েছিলে কোনকালে! তারপর কত দিন চলে গেছে আধিপত্যের হল্লাবোলে, আরো পড়ুন

রাতের শেষ প্রহরের যোদ্ধা

(কমরেড এম. এ. মতিনকে) ছোট্ট মানুষটি বহুদিন আগে থেকে অতি ধীরে ধীরে/ নীলাকাশ ছাড়িয়ে উঠে গেছেন মহাশূন্যে/ ঘুরে ঘুরে দেখছেন কালোমেঘ ঝড় আর কৃষকের সুখভোগ,/ লাখো লাখো শিশুদের ভিড়ে/ বলবান দশ হাতের আঙুলে আঙুল গুনে বুঝে নেন/ মমতা মানুষ আর ফসলের ঘ্রাণ। পোড়ামাটি নীতির কখনো মৃত্যু হয় না জেনে/ রোগাটে শরীর নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে/ নির্ভীক এক অদম্য সমরনায়ক, আরো পড়ুন

আলোকের দিন শুরু হলে মুক্তিকামী মানুষের মুক্তির গল্প লেখা হবে

দাস সমাজ

ঘুম থেকে জেগে একটি পাথরে হাত দিলে তৎক্ষণাৎ পাথর হয়ে যায় একটি ছুরির ফলা, শুরু হলো শিকার যুগের। শিকারি পশুর ছানা জন্ম হলে জন্ম হয় কৃষিজ ভূমি, নতুন ফসল ফলে নারীর আহ্বানে। পাথরের যুগ শেষ হলে গোত্রপিতার কলহে শুরু হয় নায়কী শোষণ, কোথায় হারিয়ে গেলো আমাদের মুক্ত হাতগুলো। আরো পড়ুন

মগজের রোগ সেরে গেলে বাঁচতে ইচ্ছে করে আরো যুগ যুগ

রাষ্ট্রের মগজে ছোঁয়াচে এক রোগ ভিড় জমিয়েছে,
আজকাল প্রায় সকলেই ভুগছে এ-রোগে,
রোগের পূর্বাভাস পাওয়া মাত্রই আশাপাশের সবাই ভীত ও আক্রান্ত,
কীভাবে সারবে রোগ, ভেবে ভেবে পেরোলাম কয়েক দশক। আরো পড়ুন

অন্ধ নাদেরালি

নাদেরালি, তুমি কী এখনো স্বপ্ন দেখাও? যে ভুলগুলো মাথায় নিয়ে তোমার কালের তরুণেরা ইন্দিরার বুলেটে বুক পেতেছিলো, তারা কী শ্যাওড়া গাছে ভূত হয়ে বেঁচে আছে? যে বুড়োটা একদিন হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে হাঁপানি রোগের প্রকোপে ধুঁকে ধুঁকে বুঝেছিলো স্বার্থের ঝোঁপে হারিয়ে গেছে সহানুভূতির তোড়া; সে এখন কার সাথে কোন কব্বরে ঘুমায়?   এক লেখককে নিয়ে … Read more

Oh how wonderful!

Mother cooked herself in the kitchen Father is the lumber of burning fire, Burn to ashes; The ashes are taken in the laboratory, By showing the laboratory test reports With great enthusiasm the elected representative accepts Foreign dollars, Nice mundane ways! The son sells blood, Buys alluring lottery tickets, The daughter is on her way … Read more

শুভ বিদায়

আবার দেখা, হারানোর বহুদিন পরে; আবার অন্য এক স্থানে, — বহুদিন খুঁজেছি, পাইনি। — পাবে কীভাবে? সেই যে ট্রেন থেকে নেমে গেলে? ট্রেনগুলোয় অল্পক্ষণের জন্যই আলাপ হয়। আমিও নেমেছিলাম, তবে বহুদূর এসে। আমি ছিলাম কিছুক্ষণের তেমনি অন্য এক ট্রেনের যাত্রী। স্টেশন ছেড়ে চলে এসেছি। আবার অন্য কোনো ট্রেনে অন্য কোনো দিন আলাপ হবে। — তোমার … Read more

error: Content is protected !!