বাগান সুরুযঘূর্ণি ফুল

বাগান সুরুযঘূর্ণি, সুরুযঘূর্ণি, হেলিওট্রপ, বৈজ্ঞানিক নাম: Heliotropium arborescens L. সমনাম: Heliotropium corymbosum Ruiz & Pav.; Heliotropium peruvianum L. সাধারণ নাম: garden heliotrope, বাংলা নাম: বাগান সুরুযঘূর্ণি, সুরুযঘূর্ণি, হেলিওট্রপ, অন্যান্য নাম: জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস জগৎ/রাজ্য: Plantae বিভাগ: Angiosperms অবিন্যাসিত: Eudicots অবিন্যাসিত: Asterids বর্গ: Boraginales পরিবার: Boraginaceae গণ: Heliotropium প্রজাতি: Heliotropium arborescens L. পরিচিতি: বাগান সুরুযঘূর্ণি হচ্ছে Heliotropium … Read more

শ্বেতদ্রোণ এশিয়ার ঔষধি শাক

পরিচিতি: শ্বেতদ্রোণ বিরুত জাতীয় সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি Lamiaceae পরিবারের লিউকাস গণের একটি উদ্ভিদ। এদের কচি পাতা ও কাণ্ড শাক হিসেবে রান্না করে খাওয়া যায়।  বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই শাকের বিভিন্ন নাম আছে। প্রাকৃতিক পরিবেশে এমনিতেই জন্মানো এই শাক চাষ করার কোনো ঘটনা জানা যায় না। আরো পড়ুন দ্রোণের ঔষধি গুণাগুণ বিবরণ: শ্বেতদ্রোণ বা দণ্ডকলস মাটি … Read more

নাগলিঙ্গম ত্রিনিদাদ ও ক্রান্তীয় আমেরিকারসহ উষ্ণমণ্ডলীয়র আলংকারিক ফুল গাছ

নাগলিঙ্গম

আদিনিবাস গায়ানা এবং অন্যত্র রোপন করা হয়েছে। বাংলাদেশে এই গাছ বাগানে লাগানো হয়। পুরনো জমিদার বাড়ির আঙিনায় সহজেই চোখে পড়ে। দক্ষিণ আফ্রিকার উষ্ণাঞ্চল থেকে ১৮৮১ সালে নাগলিঙ্গম প্রথম সিংহল অর্থাৎ শ্রীলংকাতে আসে। সেই গাছে ১৮৯৪ সালে প্রথম ফুল ফোটে। সরকারী ও বেসরকারী বাগানে শোভাবর্ধক বৃক্ষ হিসেবে রোপন করা হয়।[৩] বাংলাদেশে বলধা গার্ডেন, রমনা পার্ক, টংগী, বরিশালের বিএম কলেজ, ময়মনসিংহের মহিলা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ, গফরগাঁও সরকারি কলেজ, গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারাদেশে অনধিক ৫০টি গাছ রয়েছে। এই গাছ বাংলাদেশে বিপন্ন প্রজাতি, যদিও বহিরাগত। আর পড়ুন

সাদা চিতা বা সফেদ চিত্রক দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার ফুল

সাদা চিতা বা সফেদ চিত্রক হচ্ছে প্লামবাগিনাসি বা লেডওর্ট পরিবারের একটি সপুষ্পক উদ্ভিদের প্রজাতি। এটি ঔষধি গুণসমৃদ্ধ একটি গুল্ম। এটির ভেষজ গুণাগুণ আছে। এটির শিকড় মাংসল এবং ভেষজ কাজে ব্যবহৃত হয়। এই উদ্ভিদের নির্যাস এডিশ এজিপ্টি মশার লার্ভার বিরুদ্ধে শক্তিশালী যদিও মাছের ক্ষেত্রে বিষাক্ততা দেখা যায়নি। আরো পড়ুন

বাংলাদেশ ভারতসহ দক্ষিণ এশিয়ার সহজলভ্য নয়ন মোহিনী দশটি ফুল

বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ায় সহজলভ্য দশটি সুন্দর ফুল সম্পর্কে এখানে সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়া হচ্ছে। ফুলগুলি হচ্ছে সূর্যমুখী, ফরাসী গাঁদা, রক্তজবা, বাঁধা গোলাপ, বড় বাগানবিলাস, গাঢ় লাল বোতল ব্রাশ, বড় চামেলি, পাতি অলকনন্দা, নয়নতারা, লালীগুরান ফুল। এই ফুল দশটি দেখতে দারুণ মনোহর। ফুলগুলো আলংকারিক এবং সহজে গাছ তৈরি করা যায়, বাগানে চাষ করা যায়। ফুলে গৃহের চারদিকে সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। ফুলগুলো আপনাদের মনকে প্রফুল্ল করুক, সেই কামনায়। যারা ছবিগুলো তুলেছেন তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই ফুলগুলোর ভেতরে লালীগুরান ও নয়নতারার রয়েছে ঔষধি গুণাবলি।

১. সূর্যমুখী: সূর্যমুখী বা পাতি সূর্যমুখী (বৈজ্ঞানিক নাম: Helianthus annuus ইংরেজি: Common Sunflower) এস্টারেসি  পরিবারের হেলিয়ান্থুস গণের বিরুৎ। সূর্যমুখী লম্বা রোমশ, বর্ষজীবী, উচ্চতা ১৮০ সেমি বা ততোধিক হয়। সারা বৎসর জুড়ে ফুল ফোটে। পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশে উদ্ভিদটি প্রধানত সৌন্দর্য বর্ধক উদ্ভিদ রূপে বাগানে আবাদ করা হয়, কিন্তু ইদানিং উদ্ভিদটি (ভোজ্য) তেল উৎপাদনক্ষম হিসেবে জমিতে আবাদ করা হচ্ছে।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: সূর্যমুখী সূর্যমুখী বাণিজ্যিক তেলজাতীয় খাদ্য শস্য

সূর্যমুখী ফুল, আলোকচিত্র: Vengolis

২. ফরাসি গাঁদা (বৈজ্ঞানিক নাম: Tagetes patula, ইংরেজি: French Marigold) এস্টারেসি পরিবারের টাগেটেস গণের গুল্ম।  এটি  অনেকে প্রতিষ্ঠানে বা গৃহের শোভাবর্ধনের জন্য লাগিয়ে থাকে। এই ফুল ঋজু, সভঙ্গ, রোমশ, একবর্ষজীবী বীরুৎ, অনূর্ধ্ব ৮০ সেমি বা ততোধিক উঁচু হয়।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: ফরাসী গাঁদা

ফরাসি গাঁদা, আলোকচিত্র: Adityamadhav83

৩. রক্তজবা (বৈজ্ঞানিক নাম: Hibiscus rosa-sinensis) মালভেসি পরিবারের হিবিস্কাস গণের একটি ছোট বৃক্ষ। রক্তজবা গাছ টি ২-৪ মি. উঁচু, কাণ্ড খসখসে, পাতা মসৃণ ও চকচকে, ফুল ১০-১৫ সে. মি. চওড়া। ফুল এক ক অথবা দ্বৈত। গাছটি কষ্টসহিষ্ণু, অল্প যত্নে জন্মে। শাখা কলম দ্বারা এর বংশ বিস্তার হয়। প্রায় সারা বছরই গাছে ফুল ফোটে। বর্তমানে অনেক ধরনের হাইব্রীড জবার অস্তিত্ব পাওয়া যায় এবং সেগুলোর মধ্যে বর্ণবৈচিত্র প্রচুর। দেখতে সুদৃশ্য হওয়াতে এদেরকে আমরা সাধারণত বাগানে শোভাবর্ধনকারী উদ্ভিদ হিসাবে লালন করে থাকি।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: রক্তজবা একটি জনপ্রিয় আলংকারিক ফুলগাছ

রক্ত জবার ফুল ও পাতা, আলোকচিত্র: Judgefloro. CC-BY-SA-4.0

৪. বাঁধা গোলাপ (বৈজ্ঞানিক নাম: Rosa centifolia, ইংরেজি: Cabbage Rose, Moss or Provence Rose) হচ্ছে রোজেসি পরিবারের রোজ গণের  একটি সপুষ্পক গুল্ম। এটিকে বাংলাদেশে আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়। এই গুল্মটি বাড়ির টবে বা বাগানের শোভাবর্ধন করে।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: বাঁধা গোলাপ বিশ্বব্যাপী বাগান ও টবের সহজলভ্য আলংকারিক ফুল

বান্ধা গোলাপ, আলোকচিত্র: Joydeep

৫. বড় বাগান বিলাস (বৈজ্ঞানিক নাম: Bougainvillea spectabilis) (ইংরেজি: Paper Flower বা great bougainvillea) হচ্ছে নিকটাগিনাসি পরিবারের বোগেনভিলিয়া গণের  একটি সপুষ্পক লতানো গুল্ম। এদেরকে বাংলাদেশ ও ভারতে সুদৃশ্য আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে বাগানে বা গৃহে চাষাবাদ করা হয়।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: বড় বাগান বিলাস শোভাবর্ধক আলংকরিক ফুল

বড় বাগানবিলাস, আলোকচিত্র: Alex Lomas

৬. গাঢ় লাল বোতল ব্রাশ (বৈজ্ঞানিক নাম: Melaleuca citrinus, ইংরেজি নাম: Red Bottle Brush) হচ্ছে এ্যানোনেসি পরিবারের  মেলালুকা গণের একটি সপুষ্পক গুল্ম বা বৃক্ষ। এই উদ্ভিদ অনেকে বাড়ির বাগানের শোভাবর্ধন করার জন্য লাগিয়ে থাকে। এদের পল্লব সরু এবং ঝুলন্ত, বাকল ধূসরাভ বাদামী, অত্যন্ত রুক্ষ। জানুয়ারী থেকে ডিসেম্বর মাসে এদের ফুল ফোটে।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: গাঢ় লাল বোতল ব্রাশ শোভাবর্ধক ছোট আকারের চিরহরিৎ বৃক্ষ

গাড় লাল বোতলব্রাশ, আলোকচিত্র: S.G.S.

৭. চামেলি বা বড় চামেলি (বৈজ্ঞানিক নাম: Jasminum grandiflorum   ইংরেজি: Catalonian Jasmine বা Spanish Jasmine) হচ্ছে ওলিয়াসি পরিবারের Jasminum গণের লতানো বা অর্ধলতানো গুল্ম। চামেলি মসৃণ পত্রঝরা গুল্ম। এটি লম্বায় ২ থেকে ৪ মিটার ও উপশাখাগুলো বৃত্তাকার, কোণীয় বা খাঁজকাটা হয়। জুন থেকে নভেম্বর মাসের মধ্যে এর ফুল ও ফল ধরে।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: চামেলি গ্রীষ্ম প্রধান দেশের সুগন্ধি ফুল

বড় চামেলী, আলোকচিত্র: Adityamadhav83

৮. পাতি অলকনন্দা বা হারকাকরা (প্রজাতি: Allamanda cathartica ইংরেজি নাম golden trumpet, common trumpetvine, বা yellow allamanda)  এপোসিনাসি পরিবারের অ্যালামান্ডা গণের একটি সপুষ্পক চিরহরিৎ, আরোহী গুল্ম। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে সারা বৎসর। বংশ বিস্তার হয় বীজ এবং কাণ্ডের কাটিং দ্বারা।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: পাতি অলকনন্দা গ্রীষ্মমণ্ডলের শোভাবর্ধনকারী গাছ

পাতি অলকনন্দা, আলোকচিত্র: বিশ্বরূপ গাঙ্গুলি

৯. নয়নতারা (বৈজ্ঞানিক নাম: Catharanthus roseus ইংরেজি নাম: Madagascar periwinkle, rose periwinkle, or rosy periwinkle) এপোসিনাসি পরিবারের ক্যাথারান্থুস গণের একটি বহুবর্ষজীবী বীরুৎ বা উপ-গুল্ম। এদেরকে সাধারণত বাগানের আলংকারিক উদ্ভিদ হিসেবে টবে বা বাগানে রোপণ করা হয়। ফুল ও ফল ধারণ ঘটে প্রায় সারা বৎসর ধরে।

মূল প্রবন্ধ পড়ুন: নয়নতারা এপোসিনাসি পরিবারের একটি আলংকারিক ফুল

নয়নতারা, আলোকচিত্র: Biswarup Ganguly

১০. লালী গুরাঁস বা রডোড্রেনড্রন (বৈজ্ঞানিক নাম: Rhododendron arboreum, ইংরেজি নাম: Tree rhododendron, burans বা gurans) এদেরকে ভুটান, চীন, ভারত, মায়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান এবং থাইল্যান্ডে পাওয়া যায়। ফুলটি হিমালয়ের পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এবং বাংলার দার্জিলিং-এ জন্মে। লালীগুরাঁস নেপালের জাতীয় ফুল। লালীগুরান এতোই লাল যে যখন গাছে ফুল ফোটে তখন চোখ ফেরানো যায় না।

রডোডেনড্রন ফুল, নেপালের জাতীয় ফুল, আলোকচিত্র: দোলন প্রভা

বাগান তৈরি করুন, দেহ ও মনকে প্রফুল্ল রাখুন, আশপাশের পরিবেশটাকে বদলে দিন।

অপরাজিতা

নীলাভ মৃদু হাওয়া আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায়
স্বচ্ছ জলধারার মাঝে জেগে ওঠা প্রশান্তির দ্বীপে,
তার মাঝে জ্বলজ্বলে হয়ে আছে অপরাজিতায় মোড়ানো পাহাড়। আরো পড়ুন

আগমনীর পত্র

আনমনে পথ চলা নিয়ে আসে আবছায়ায় পর্দার কাছে
নিখোঁজ কিছু মিলে যায় আড়ালের দৃষ্টিতে,
বহুদূর জুড়ে দেখা যায় নিশানার রেখা,
মনকে ভুলিয়ে দেয়া কলমিলতার ফুল। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!