ভুলুয়া নদী বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলা এবং দিনাজপুরের বীরগঞ্জের নদী

ভুলুয়া নদী বা বুলুয়া নদী (ইংরেজি: Vuluya River) হচ্ছে বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলা এবং ঠাকুরগাঁও জেলার সদর উপজেলার একটি নদী। নদীটির দৈর্ঘ্য ১১-১২ কিলোমিটার। নদীটিতে জোয়ার ভাঁটার প্রভাব থাকে না। ভুলুয়া নদী মূলত নর্ত নদীর উপনদী যা নর্তের ডান তীরে এসে মিলিত হয়েছে।[১]

প্রবাহ: ভুলুয়া নদী বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের বাসুদেবপুর অঞ্চল থেকে উৎপন্ন হয়েছে। কিছুদুর অগ্রসর হয়ে নদীটি নারগুন ইউনিয়নের দৌলতপুরে জাতীয় মহাসড়ক ৫ অতিক্রম করেছে। এরপর নদীটি নারগুন ও বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের চক লক্ষ্মীপুর দিয়ে সামনে এগিয়েছে। পথিমধ্যে এই নদী বাম দিক থেকে নওপাড়া ঈদগাহ মাঠের কাছে চন্দ্রভোগ বিল এবং নওপাড়া বিল থেকে আসা একটি প্রবাহ থেকে পানি সংগ্রহ করে। এরপর নদীটি মাহানপুর গ্রাম পেরিয়ে রসুল পুরে সিংড়া জাতীয় উদ্যানের পশ্চিমে অন্য নদীতে পতিত হয়েছে।

ভুলুয়া নদী একটি মৌসুমি নদী, মার্চ ও এপ্রিল শুষ্ক মৌসুমে পানি প্রবাহ থাকে না কিন্তু জুন-আগস্ট বর্ষাকালে পানির পরিমাণ উন্নীত হয়। জোয়ার-ভাটার প্রভাব এ নদীতে পরিলক্ষিত হয় না এবং সাধারণ বন্যায় নদীর পাড় পানি উপচায় না।

বেগুনবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বেগুনবাড়ি পোস্ট অফিস, বেগুনবাড়ি মাদ্রাসা এই নদীর তীরে অবস্থিত। কয়েকটি সেতু এ নদীর উপর নির্মিত হয়েছে। নদীর উৎসের দিকে জাতীয় মহাসড়ক ৫, ইপিভিটিএল পাওয়ার প্লান্ট, বলাকা উদ্যান ইত্যাদি নির্মাণ করে মূল প্রবাহ বন্ধ করা হয়েছে।

আলোকচিত্রের ইতিহাস: বেগুনবাড়ি থেকে ভুলুয়া নদীটির এই আলোকচিত্রটি তুলেছেন সাইমুম রহমান নামের এক আলোকচিত্রী আগস্ট ২০২০ তারিখে।

তথ্যসূত্র

১. হানিফ শেখ, ড. মো. আবু (ফেব্রুয়ারি ২০১৬)। “উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় নদ-নদী”। বাংলাদেশের নদ-নদী ও নদী তীরবর্তী জনপদ (প্রথম সংস্করণ)। ঢাকা: অবসর প্রকাশনা সংস্থা। পৃষ্ঠা ৫৫। আইএসবিএন 978-9848797518।

Leave a Comment

error: Content is protected !!