কার্ল মার্কস ও নিউ রাইনিশ গেজেট

আমরা যাকে জার্মান কমিউনিস্ট পার্টি বলতাম, ফেব্রুয়ারি বিপ্লবের আরম্ভে তা ছিলো শুধু একটি স্বল্পসংখ্যকের কোষকেন্দ্র, ছিল গোপন প্রচারমূলক সমিতি হিসাবে সংগঠিত কমিউনিস্ট লীগ। সেই সময়ে জার্মানিতে সংঘ ও সভা সমিতির কোনো অধিকার ছিলো না বলেই লীগকে গুপ্ত সংগঠন হতে হয়েছিলো। বিদেশের বিভিন্ন শ্রমিক সংস্থা থেকে লীগ তার সদস্য সংগ্রহ করতো। আরো পড়ুন

বর্তমান নানা সরকার-বিরোধী পার্টির সঙ্গে কমিউনিস্টদের সম্বন্ধ

শ্রমিক শ্রেণির যে সব পার্টি এখন বিদ্যমান, যেমন ইংল্যান্ডে চার্টিস্টগণ ও আমেরিকায় কৃষি সংস্কারবাদীরা, তাদের সঙ্গে কমিউনিস্টদের সম্বন্ধ দ্বিতীয় অধ্যায়ে পরিষ্কার করা হয়েছে। উপস্থিত লক্ষ্যসিদ্ধির জন্য, শ্রমিক শ্রেণির সাময়িক স্বার্থ রক্ষার জন্য কমিউনিস্টরা লড়াই করে থাকে, কিন্তু আন্দোলনের বর্তমানের মধ্যেও তারা আন্দোলনের ভবিষ্যতের প্রতিনিধি, তার রক্ষক। ফ্রান্সে রক্ষণশীল এবং র‍্যাডিকাল বুর্জোয়াদের আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, সমালোচনা — কল্পলৌকিক সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজম

আধুনিক যুগের প্রতিটি বড় বড় বিপ্লবে যে সাহিত্য প্রলেতারিয়েতের দাবিকে ভাষা দিয়েছে, যেমন বাব্যেফ ও অন্যান্যদের রচনা, আমরা এখানে তার উল্লেখ করছি না। সামন্ত সমাজ যখন উচ্ছেদ হচ্ছে তখনকার সর্বজনীন উত্তেজনার কালে নিজেদের লক্ষ্যসিদ্ধির জন্য প্রলেতারিয়েতের প্রথম সাক্ষাৎ প্রচেষ্টাগুলি অনিবার্য্যভাবেই ব্যর্থ হয় আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, রক্ষণশীল অথবা বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র

বুর্জোয়া সমাজের অস্তিত্বটা ক্রমাগত বজায় রাখার উদ্দেশ্যেই বুর্জোয়া শ্রেণির একাংশ সামাজিক অভাব-অভিযোগের প্রতিকার চায়। এই অংশের মধ্যে পড়ে অর্থনীতিবিদেরা, লোকহিত ব্রতীরা, মানবতাবাদীরা, শ্রমিক শ্রেণীর অবস্থার উন্নয়নকারীরা, দুঃস্থ-ত্ৰাণ সংগঠকেরা, পশুক্লেশ নিবারণী সভার সদস্যরা, মাদকতা নিবারণের গোঁড়া প্রচারকেরা, সম্ভবপর সবরকম ধরনের খুচরো সংস্কারকরা। সমাজতন্ত্রের এই রূপটি পরিপূর্ণ মতধারা হিসাবেও সংরচিত হয়ে উঠেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, জার্মান অথবা ‘খাঁটি’ সমাজতন্ত্র

ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্ট সাহিত্যের জন্ম হয়েছিলো ক্ষমতাধর বুর্জোয়া শ্রেণীর চাপে এবং এই ক্ষমতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের অভিব্যক্তি হিসাবে। জার্মানিতে সে সাহিত্যের আমদানি হলো যখন সামন্ত স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে সেখানকার বুর্জোয়ারা সবেমাত্র লড়াই শুরু করেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, পেটি বুর্জোয়া সমাজতন্ত্র

বুর্জোয়াদের হাতে একমাত্র সামন্ত অভিজাত শ্রেণিরই সর্বনাশ হয় নি, তারাই একমাত্র শ্রেণি নয় আধুনিক বুর্জোয়া সমাজের আবহাওয়ায় যাদের অস্তিত্ব-শর্ত শুকিয়ে গিয়ে মরতে বসেছে। আধুনিক বুর্জোয়াদের অগ্রদূত ছিল মধ্যযুগের নাগরিক দল এবং ছোটো ছোটো খোদকস্ত চাষী। শিল্প বাণিজ্যে যে সব দেশের বিকাশ অতি সামান্য, সেখানে উঠন্ত বুর্জোয়াদের পাশাপাশি এখনো এই দুই শ্রেণি দিনগত পাপক্ষয় করে চলেছে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, সামন্ত সমাজতন্ত্র

— কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস৩সমাজতন্ত্রী ও কমিউনিস্ট সাহিত্য১. প্রতিক্রিয়াশীল সমাজতন্ত্রক. সামন্ত সমাজতন্ত্র স্বীয় ঐতিহাসিক পরিস্থিতির কারণে ফ্রান্স ও ইংল্যান্ডের অভিজাতদের কাছে আধুনিক বুর্জোয়া সমাজের বিরুদ্ধে পুস্তিকা লেখা একটা কাজ হয়ে দাঁড়ায়। ১৮৩০ খ্ৰীস্টাব্দের জুলাই মাসের ফরাসী বিপ্লবে এবং ইংল্যান্ডে সংস্কার আন্দোলনে ঘৃণ্য ভুঁইফোঁড়দের হাতে এদের আবার পরাভব হল । এরপর এদের পক্ষে একটা গুরুতর … Read more

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, প্রলেতারিয়েত ও কমিউনিস্টগণ

— কার্ল মার্কস ও ফ্রিডরিখ এঙ্গেলস কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার, প্রলেতারিয়েত ও কমিউনিস্টগণ সমগ্রভাবে প্রলেতারীয়দের সঙ্গে কমিউনিস্টদের কী সম্বন্ধ? শ্রমিক শ্রেণীর অন্যান্য পাটিগুলির প্রতিপক্ষ হিসাবে কমিউনিস্টরা স্বতন্ত্র পার্টি গঠন করে না। সমগ্রভাবে প্রলেতারিয়েতের স্বাৰ্থ থেকে বিচ্ছিন্ন স্বতন্ত্র কোনো স্বার্থ তাদের নেই। প্রলেতারীয় আন্দোলনকে রূপ দেওয়া বা গড়ে পিটে তোলার জন্য তারা নিজস্ব কোনও গোষ্ঠীগত নীতি খাড়া … Read more

কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার — বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত

ইউরোপ ভূত দেখছে—কমিউনিজমের ভূত। এ ভূত ঝেড়ে ফেলার জন্য এক পবিত্র জোটের মধ্যে এসে ঢুকেছে৷ সাবেকী ইউরোপের সকল শক্তি—পোপ এবং জার, মেত্তেরনিখ ও গিজে, ফরাসি র‍্যাডিকালেরা আর জার্মান পুলিশ গোয়েন্দারা। এমন কোন বিরোধী পার্টি আছে, ক্ষমতায় আসীন প্রতিপক্ষ যাকে কমিউনিস্ট-ভাবাপন্ন বলে নিন্দা করে নি? এমন বিরোধী পার্টিই বা কোথায় যে নিজেও আরও অগ্রসর বিরোধী দলগুলির, তথা প্রতিক্রিয়াশীল বিপক্ষদের বিরুদ্ধে পাল্টা ছুড়ে মারে নি কমিউনিজমের গালি? এই তথ্য থেকে দুটি ব্যাপার বেরিয়ে আসে। আরো পড়ুন

কমিউনিস্ট ইশতেহারের ১৮৯৩ সালের ইতালীয় সংস্করণের ভূমিকা

ইতালীয় পাঠকদের প্রতি বলা যেতে পারে যে ‘কমিউনিস্ট পার্টির ইশতেহার’ প্রকাশিত হয় ১৮৪৮ খ্রীস্টাব্দের ১৮ মার্চের সঙ্গে সঙ্গে— মিলানে ও বার্লিনে বিপ্লব ঘটে এই তারিখটায়— ইউরোপীয় ভূখণ্ডের মধ্যস্থলের একটি, এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের মধ্যস্থলে একটি, এই দুই জাতির সশস্ত্র অভ্যুত্থান ছিলো তা, এবং তা এমন দুটি জাতি যা বিভাগ ও অন্তর্দ্বন্দ্বে তখনো পর্যন্ত দুর্বল হয়ে ছিলো … Read more

error: Content is protected !!