আনু মুহাম্মদ আত্মশুদ্ধিব্রত পালনকারী ক্ষুদে বুর্জোয়া চিন্তায় আচ্ছন্ন প্রগতিশীল লেখক

আনু মুহাম্মদ (জন্ম: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬) হচ্ছেন অর্থনীতির অধ্যাপক, একসময় মার্কসবাদপুঁজিবাদ বিশ্লেষণ করে কিছু লেখা লিখেছিলেন। বর্তমানে পরিবেশ ও জাতীয় সম্পদ রক্ষা আন্দোলনের সাথে জড়িত। তাঁর লেখার উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে তিনি বাংলাদেশের ও বিশ্ব পুঁজিবাদী অর্থনীতির বৈশিষ্ট্যসমূহকে ফুটিয়ে তোলেন। আরো পড়ুন

বুর্জোয়া বা বুর্জোয়াজি বলতে কি বুঝায়?

বুর্জোয়া বা বুর্জোয়াজি (ফরাসি: Bourgeosie) কথাটি একটি ফরাসি শব্দ। ব্যুৎপত্তিগত অর্থ নগরবাসী। পূর্বে নগরকে বলা হত ‘বুর’ (bourg)। বুর-এর অধিবাসীরা বুর্জোয়া বলে অভিহিত। পুঁজিবাদী অর্থনীতির উদ্ভব হয় ওইসব নগরগুলিতে। শিল্পোন্নয়নে সেগুলি সমৃদ্ধি লাভ করে। যান্ত্রিক অগ্রগতির ফলে ইউরােপে উৎপাদন বাবস্থায় আমূল পরিবর্তন দেখা দেয়। আরো পড়ুন

পিয়েরে জোসেফ প্রুধোঁ নৈরাজ্যবাদ ও ফরাসী সিন্ডিক্যালবাদের প্রাবন্ধিক ও তাত্ত্বিক

পিয়েরে জোসেফ প্রুধোঁ, ইংরেজিতে Pierre-Joseph Proudhon, (১৫ জানুয়ারি, ১৮০৯-১৯ জানুয়ারি, ১৮৬৫) ফরাসী প্রাবন্ধিক, অর্থনীতিবিদ ও সমাজতাত্ত্বিক। তিনি ছিলেন ক্ষুদে বুর্জোয়ার তত্ত্বপ্রবক্তা ও নৈরাজ্যবাদের আদি তাত্ত্বিকদের একজন।[১] তিনিই প্রথম নৈরাজ্যবাদ ও ফরাসী সিন্ডিক্যালবাদের তত্ত্ব রচনা করেন। তিনি বলেন সরকারের অবলুপ্তি আর শোষণের অবলুপ্তি একই সাথে চলবে। দুটি একই, অভিন্ন কাজ। আরো পড়ুন

পুঁজিপতি বামনদের কালে অমৃতের বিশ্বকে তৈরির ডাক দিয়ে যাই

অনেক, অজস্র, অগণন মানুষ দেখি; সড়কে, অভারব্রিজে, ফুটপাথে, হাটে, বন্দরে, ঘাটে; লঞ্চে-বাসে-ট্রেনে। শুধু মানুষ মানুষ আর মানুষ। অনুন্নত পুঁজিবাদী দেশের বুর্জোয়া আর ক্ষুদে বুর্জোয়া মালিকদের কাছে মানুষ হলো পণ্য উৎপাদনের যন্ত্র আর পণ্য ক্রয়ের প্রাণী। এই বুর্জোয়া আর ক্ষুদে বুর্জোয়ারা কোনো নিয়ম নীতি শৃঙ্খলা মানে না; তারা সমস্ত আইনকেই ৪২০ বা ফোরটুয়েন্টি ধারায় আরো পড়ুন

দ্বৈত ক্ষমতা

প্রত্যেকটি বিপ্লবেরই মূল প্রশ্ন হলো রাষ্ট্রক্ষমতার প্রশ্ন। এই প্রশ্নটি উপলব্ধ না হলে বিপ্লবে সজ্ঞান অংশগ্রহণ সম্ভবপর হতে পারে না, বিপ্লব পরিচালনার তো কথাই ওঠে না। আমাদের বিপ্লব সৃষ্টি করেছে দ্বৈত ক্ষমতা, এই হলো তার খুবই লক্ষণীয় বৈশিষ্ট্য। এই ঘটনাটিকে সর্বাগ্রে উপলব্ধি করতে হবে: এটা না বুঝলে আমরা এগোতে পারি না। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!