দুধকলমি লতা বাংলাদেশের ভেষজ প্রজাতি

দুধকলমি লতা

বৈজ্ঞানিক নাম: Operculina turpethum (Linn.) Silva Manso. সমনাম Argyreia alulata Miq., Convolvulus anceps L., Convolvulus turpethum L., Ipomoea anceps (L.) Roem. & Schult., Ipomoea turpethum (L.) R.Br., Merremia turpethum (L.) Bojer, Spiranthera turpethum (L.) Bojer.   ইংরেজি নাম : Indian Jalap. স্থানীয় নাম : দুধ কলমি।  জীববৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস 
জগৎ/রাজ্য: Plantae. বিভাগ: Angiosperms. অবিন্যাসিত: Eudicots. বর্গ: Solanales. পরিবার: Convolvulaceae. গণ: Operculina  প্রজাতির নাম: Operculina turpethum

ভূমিকা: এটিকে বাংলায় তেউড়ী, তহরী, দুধকলমি, দুধিয়া কলমী; সংস্কৃতে ত্রিবৎ, হিন্দীতে পিটোহারী বলে। এর বোটানিক্যাল নাম Operculina turpethum (Linn.) Silva Manso. এর নানা ভেষজ গুণ আছে। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ মূল ও মূলের ছাল এবং ফুল।

দুধকলমি-এর বিবরণ:

ভূমি-প্রসারণী লতা, লতার কাণ্ডটি তিনটি শিরাবিশিষ্ট, তবে তার কোন কোন জায়গা গোলও দেখা যায়। এটি পশ্চিম বাংলার সর্বত্র জঙ্গলের ধারে অথবা পোড়া জায়গায় অথবা নদীর ধারে জন্মে। এছাড়া ভারতের সর্বত্র, এমন-কি তিন হাজার ফুট উচু পর্যন্ত স্থানেও এটি অযত্নসম্ভূত হয়েই জন্ম নেয়। লতা কাটলে বা ভাঙ্গলে দুধের মত বর্ণ-বিশিষ্ট চটচটে আঠা বেরোয়। সাধারণতঃ পাতাগুলি ৪ থেকে ৫ ইঞ্চি লম্বা, গোড়ার দিকটা হৎপিণ্ডের মত এবং অনেকটা কলমীশাকের পাতার মতও আকৃতিবিশিষ্ট এবং ফুলগুলিও কলমীশাকের ফলের মতই। ফল ডিম্বাকৃতি গোল। বহুদিনের গাছ হলে মূলের ছাল বেশ পরে হয়। ত্রিবৃৎ কৃষ্ণ, রক্ত ও শ্বেতবর্ণ ভেদে ৩ প্রকারের, তন্মধ্যে কৃষ্ণ বিবৃৎ অধিক শক্তিশালী, তৎপরে রক্ত এবং শেষে শ্বেত ত্রিবৃৎ। মার্চ-এপ্রিল মাসে ফুল ও ফল হয়।

তথ্যসূত্রঃ

১. আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্টাচার্য: চিরঞ্জীব বনৌষধি খন্ড ৫, আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড, কলকাতা, তৃতীয় মুদ্রণ ১৪০৩, পৃষ্ঠা, ৯৩-৯৫।

বি. দ্র: ব্যবহৃত ছবি উইকিমিডিয়া কমন্স থেকে নেওয়া হয়েছে। আলোকচিত্রীর নাম: Dinesh Valke

Leave a Comment

error: Content is protected !!