নাগমতির সুর
অন্ধকার গ্রহে ধীরে ধীরে আশার বিন্দু হয়ে জেগে ওঠে
তৃণ জড়ানো আধো বালুময় নতুন দ্বীপ নাগমতি নদীর বুকে,
সোনালী আলোর ছটায় চারদিকে জ্বল জ্বল করে হলুদ নাক ফুল; আরো পড়ুন<
সাহিত্য জগতের প্রধান শিল্পরূপ হচ্ছে কবিতা। মানুষ তার চেতনার উন্মেষকাল থেকেই কল্পনাশক্তি ও ভাষার সাহায্যে কবিতা রচনার ক্ষমতা অর্জন করেছিল। বাংলা ভাষার আদি নিদর্শন চর্যাপদ কবিতায় রচিত। কালের ধারায় বাংলা কবিতা বিকশিত হয়েছে মানবমন, সমাজজীবন ও প্রকৃতির রূপরস অবলম্বন করে। প্রাচীন ও মধ্যযুগ অতিক্রম করে বর্তমান সময় পর্যন্ত বাংলা কবিতা তার বিচিত্র ধারায় প্রসারিত। উনিশ শতকে ঔপনিবেশিক জীবন-প্রতিবেশে সূচিত হয় পাশ্চাত্য সাহিত্যাদর্শের অনুপ্রেরণা-ঋদ্ধ একটি আধুনিক ধারা, তবে স্বদেশের জীবন ও নিসর্গই ছিল এই কবিতার ভাব ও রূপবৈচিত্র্যের মূল উপাদান।
কবিতা হচ্ছে কিছু শব্দ প্রয়োগ করে ছন্দ ও অর্থযুক্ত বাক্য বিন্যাস তৈরি করা। কবিতায় একজন ব্যক্তি বা কবির নিজের আবেগ-অনুভূতি, চিন্তা-উপলব্ধি, মতাদর্শ ইত্যাদি সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরা হয়। সাহিত্যের আদিম শাখা হচ্ছে কবিতা। স্বরবিত্ত, মাত্রাবৃত্ত, অক্ষরবৃত্ত ছন্দে কবিতা লেখা হয়।
অন্ধকার গ্রহে ধীরে ধীরে আশার বিন্দু হয়ে জেগে ওঠে
তৃণ জড়ানো আধো বালুময় নতুন দ্বীপ নাগমতি নদীর বুকে,
সোনালী আলোর ছটায় চারদিকে জ্বল জ্বল করে হলুদ নাক ফুল; আরো পড়ুন<
কচি কলাপাতারঙ নবীন গাছের পাশে ঘুমাচ্ছিলএক মাঝ বয়সী পার্থিব ভ্যানচালকহঠাত ঘুম ভাঙলো স্বাপ্নিক উত্তেজনায়,দুর্বার চেঁচালো ‘আমি তোকে খুন করব’নাক মুখ দিয়ে মিনিট খানেক ট্রাক-ইঞ্জিনের মতো গোঁ গোঁ শব্দ,তারপর চোখ খুলে এদিক ওদিক তাকিয়ে আবার ঘুমালো অন্ধ কুঠুরিতে; চৈত্রের দুপরে ভ্যানের উপরে শুয়ে আছে, এক মরা লাশ যেনদক্ষিণে মাথা, দখিনা বাতাস, আউলা আকাশগায়ে ছিটের শার্ট, সস্তা … Read more
নিপীড়িত মানুষের বিদ্রোহের ভিত্তিমূলে গান থাকে, কথা থাকে, হাহাকারের পরে ঘুরে দাঁড়ানো থাকে,আগমন ও প্রস্থান থাকে। মহাকালের ভেতরে ছোট ছোট মুহূর্তগুলো হারালেও অন্যায়ের টুঁটি চেপে কিছু মানুষ মাথাকে উঁচু করে বের হয়, সমতার কমিউনগুলো দৈনন্দিন ব্যস্ততায় গড়ে ওঠে। যুদ্ধের ধারাবাহিকতায় ন্যায়যুদ্ধ শুরু হলে যেখানেই জয়ের খবর আসে, আরো এক কদম এগোলো সমাজ, শ্রমিকেরা বোঝেন একদিন পশ্চাদপসরণ মানে সাময়িক বিরতি। আরো পড়ুন