বাসন্তী নিশ্চয় এই মধ্য রাতে ঘুমাচ্ছে
কিংবা রাত্রির অন্ধকারে খোয়াচ্ছে যৌবন
আর আমি উদ্ভিদের নাম মুখস্ত
করতে করতে উদ্ভিদ একজন…
‘হিবিসকাসরোসা সাইনেনসিস,
নিলাম্বু নিউসিফেরা, ধুতুরা মেটেল,
ম্যাংগিফেরা ইন্ডিকা…।’
উদ্ভিদের প্রাণ আছে
ভালোবাসা আছে সীমাহীন তার
জানতে হলে প্রাণিবিদ্যা চর্চা প্রয়োজন…
অ্যানিলিডা, প্রটোজোয়া, মোলাস্কা,
হোমো কর্ডাটা…।
অথচ কেমন দেখো আফসোস
হৃদয় বিদ্যা পড়ে না প্রাণিবিদ্যায়
এই বিদ্যা বহির্ভূত সকল বিদ্যার।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: কবিতাটি অস্তিত্বের জন্যে যুদ্ধ চাই কাব্যগ্রন্থের পঞ্চম কবিতা।
এনামূল হক পলাশ কবি, লেখক এবং সংগঠক। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন সময় কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে যুক্ত থেকে সাংবাদিকতা করেছেন। তাঁর প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থগুলো হচ্ছে “অস্তিত্বের জন্য যুদ্ধ চাই”, “জীবন এক মায়াবী ভ্রমণ”, “অন্ধ সময়ের ডানা”, “অন্তরাশ্রম”, “মেঘের সন্ন্যাস”, “পাপের শহরে”, “জল ও হিজল”। ১৯৭৭ সালের ২৬ জুন নেত্রকোণা জেলার বারহাট্টা উপজেলার বাদে চিরাম গ্রামে মাতুলালয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস একই উপজেলার বামনগাঁও গ্রামে। তিনি লেখাপড়া করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারমিডিয়েট কলেজ, সরকারী তিতুমীর কলেজ, নেত্রকোণা সরকারী কলেজ এবং গুরু দয়াল সরকারী কলেজে। ছাত্রাবস্থায় ১৯৯৮ সালে প্রগতিশীল বামপন্থী বিপ্লবী রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। কবি, লেখক ও সংস্কৃতি কর্মীদের ব্যবহারের জন্য তিনি নেত্রকোনা শহরের মালনী এলাকায় গড়ে তুলেছেন অন্তরাশ্রম নামে একটি প্রতিষ্ঠান। তিনি এর প্রতিষ্ঠাতা ও আচার্য। সেই সাথে তিনি “অন্তরাশ্রম” নামে একটি সাহিত্যের ছোট কাগজ প্রকাশ করেন।