দুপুরমনি বা বনঢুলি বাগানে চাষযোগ্য আলংকারিক বর্ষজীবী বীরুৎ

দুপুরমনি

দুপুরমনি বর্ষজীবী বীরুৎ। এর উচ্চতা ১-২ মিটার পর্যন্ত হয়। এই প্রজাতির বাকল মসৃণ, সবুজাভ-বাদামী, সামান্য ছড়ানো তারকাকার লোমযুক্ত। পাতা সরল, একান্তর, দৈর্ঘ্য ৩-১৪ সেমি ও প্রস্থ ০.৫-১.৫ সেমি। পাতা দেখতে রৈখিক-বল্লমাকার, শীর্ষ সূক্ষ্মা, গোড়া স্থুলাগ্র অথবা কীলকাকার, কিনারা করাত দন্তযুক্ত, আরো পড়ুন

জিনিয়া শীতকালীন মৌসুমের বাগান ও টবে চাষযোগ্য পরিচিত আলংকারিক ফুল

জিনিয়া

জিনিয়া ঋজু, রোমশ, একবর্ষজীবী বীরুৎ। এই উদ্ভিদ অনূর্ধ্ব ৫৪ সেমি বা ততোধিক লম্বা হয়। পত্র স্পষ্টতঃ বল্লমাকার, অখন্ড, সামান্য রোমশ। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, অসম জননকোষী, একল, পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, ব্যাস ৯ সেমি বা ততোধিক, দ্বিতয় বা একক, মঞ্জরী পত্রাবরণ অর্ধবেলনাকার। মঞ্জরীপত্র বহু-স্তরে বিন্যস্ত, স্থূলা, শুষ্ক, প্রশস্ত, অভ্যন্তর থেকে বাইরের দিক ক্রমান্বয়ে খাটো, পুষ্পধার দীর্ঘ, শল্কবৰ্মীয়, শল্কবৰ্ম বর্ণিল, রোমশ। আরো পড়ুন

কসমস বাংলাদেশের শীত মৌসুমের কষ্টসহিষ্ণু আলঙ্কারিক ফুল

কসমস

কসমস লম্বাভাবে বেড়ে ওঠা রোমশযুক্ত বর্ষজীবী বিরুৎ। উচ্চতায় ৯০ সেমি বা অধিক লম্বা হয়। এদের পাতা অতি মাত্রায় ছিন্ন। পুষ্পবিন্যাস শিরমঞ্জরী, অসম জননকোষী, ব্যাস ৭ সেমি, দীর্ঘ পুষ্পদন্ডবিশিষ্ট, একল, শিথিল সমভুমঞ্জরী, রে-বিশিষ্ট, মঞ্জরী পত্রাবরণ অর্ধগোলাকার। মঞ্জরীপত্র ২-স্তরে সজ্জিত, নিম্নাংশে যমক, ঝিল্লিময়, সরেখ, বহির্দেশীয় গুলি সরু, উপবীরুৎ সদৃশ, পুষ্পধার সমতল, শঙ্কৰ্মীয়, শল্কবর্ম সরু। আরও পড়ুন

করবী ভূমধ্যসাগরীয় ও এশীয় অঞ্চলের ঔষধি ও উদ্যানের আলংকারিক উদ্ভিদ

করবী

শোভাবর্ধক উদ্ভিদ হিসেবে চাষ হয়। করবী গাছের আছে নানা ঔষধি গুনাগুণ উদ্ভিদটির বিশেষভাবে শিকড় বিষাক্ত, উদ্ভিদটির পুষ্প হিন্দু ধর্মের পূজা অর্চনায় প্রয়োজনীয় (Kanjilal et al, 1939)। সন্তান প্রসবজনিত স্ত্রী রোগের চিকিৎসায় টাটকা পাতার নির্যাস ব্যবহৃত হয়। শিকড় চূর্ণ মাথা ব্যথার উপশমে ব্যবহৃত হয়। পাতার নির্যাস সাপের কামড়ে ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আরো পড়ুন

বরুণ জলাভূমির পাশে জন্মানো পরিচিত ও সহজলভ্য আলংকরিক বৃক্ষ

বরুণ

নদীর তীরবর্তী অঞ্চল, চিরহরিৎ এবং মিশ্র পর্ণমোচী অরণ্য। ফুল ও ফল ধারণ জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর মাসে। বীজ বা মূলীয় সাকার দ্বারা বংশ বিস্তার। আরো পড়ুন

দেবকাঞ্চন দক্ষিণ-পুর্ব এশিয়ার উদ্যানে চাষযোগ্য ভেষজ গুণ সম্পন্ন আলংকারিক ফুল

দেবকাঞ্চন

ভূমিকা: দেবকাঞ্চন (বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia purpurea , ইংরেজি: Purple Bauhinia, Butterfly Tree,  amel’s Foot Tree, Purple Orchid Tree, Geranium Tree, Tree Bean) ফেবাসিস পরিবারের,  ফানেরা গণের একটি এক প্রকারের বৃক্ষ। রক্তকাঞ্চনের চেয়ে এই গাছের আকার বড়। এটি ভারতীয় প্রজাতি। মাঝারি আকৃতির পত্রমোচক, প্রায় গোলাকৃতির এই গাছের বেগুনী রঙের ফুল ফোটে।[১] বৈজ্ঞানিক নাম: Bauhinia purpurea L., … Read more

ঝুমকা লতা গ্রীষ্মাঞ্চলের ভেষজ গুণে ভরা ও শোভাবর্ধক বিরুৎ

ঝুমকা লতা

সম্ভবত দক্ষিণ আমেরিকা থেকে উৎপন্ন, বর্তমানে ইহার চাষ হয় এবং প্রায়শই অধিকাংশ গ্রীষ্ম প্রধান দেশে দেশ্যভূত। বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে ইহা বুনো পরিবেশে পাওয়া যায়। আরো পড়ুন

কুঞ্জলতা বা তরুলতা বা গেইটফুল বাগান ও টবে চাষযোগ্য লতা

কুঞ্জলতা

তরুলতা বা কুঞ্জলতা, গেইটফুল  (বৈজ্ঞানিক নাম: Ipomoea quamoclit, ইংরেজি নাম: Cypress Vine, Cardinal Vine, Star Glory) হচ্ছে কুয়ামোক্লিট পরিবারে Ipomoea গণের সপুষ্পক লতা। আরো পড়ুন

রক্তকাঞ্চন এশিয়ার সুন্দর, মিষ্টি গন্ধযুক্ত ও ভেষজ গুণে ভরা ফুল গাছ

রক্তকাঞ্চন

রক্ত কাঞ্চন মাঝারি আকৃতির পর্ণমোচী বৃক্ষ। এর দেহকান্ড খাটো, বাকল মসৃণ, অনুদৈর্ঘ্য ফাটলযুক্ত তরুণ কান্ড কোমল রোমশ। পাতা সরল, একান্তর, সবৃন্তক, বৃন্ত ২.০-৩.৮ সেমি। লম্বা, ফলক ৪.৫-১৫.০ সেমি লম্বা, দৈর্ঘ্য প্রস্থ সমান বা প্রস্থ অপেক্ষা বড়, মধ্যভাগ কাটা, শীর্ষ থেকে নিচের দিকে খন্ড স্থূলা, মূলীয় অংশ অতিশয় হৃদপিন্ডাকৃতি, অর্ধচর্মবৎ, বিশেষ করে অঙ্কীয় পৃষ্ঠের শিরাসমূহ তরুণ অস্থায় ধূসর চকচকে ও রোমশ পুষ্পবিন্যাস রেসিম। পুষ্পবিন্যাস শীর্ষীয় বা অক্ষীয় স্বল্প পুষ্প বিশিষ্ট রেসিম। আরো পড়ুন

দোপাটি ফুল চাষের জন্য জমি প্রস্তুত ও পরিচর্যা পদ্ধতি

দোপাটি

দোপাটি ফুলের চাষ শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা তিন ঋতুতে হতে দেখা যায়। তবে গ্রীষ্ম ও বর্ষাকালে এর ফুল অধিকতর বড় ও সুন্দর হয়। হালকা উর্বর মাটি এবং প্রচুর জল দোপাটি চাষে সহায়ক। আঙ্গিনার জমিতে ও টবে দোপাটির চাষ হয়। আগষ্ট-সেপ্টেম্বর মাসে এর চাষ শুরু করার জন্যে বীজ বপন করা হয়। বাণিজ্যিক মূল্য এ ফুলের তেমন একটা নেই। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!