অবরোধ হচ্ছে শত্রুদেশের বন্দরে প্রবেশ ও বহিরাগমন রােধ

অবরােধ (ইংরেজি: Blockade) হচ্ছে যুধ্যমান অবস্থায় শত্রুদেশের বন্দরে প্রবেশ ও বহিরাগমন রােধ করার উদ্দেশ্যে বন্দরের বাইরে যুদ্ধ জাহাজ দিয়ে অবরােধ, যাতে সে দেশে সরবরাহ ও অর্থনৈতিক বিঘ্ন সৃষ্টি করা যায়। আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে নিরপেক্ষ কোনো দেশের বাণিজ্য-জাহাজ সে-অবরােধ অমান্য করলে জাহাজ বাজেয়াপ্ত করার অধিকার থাকে। উক্ত আইন অনুযায়ী নিরপেক্ষ সমস্ত দেশসহ যাবতীয় ক্ষেত্রেই ওই অধিকার প্রযুক্ত হতে হবে।

লন্ডনে ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে একটি ঘােষণায় অবরােধের অধিকার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু সেটা ফলপ্রসূ হয়নি। শান্তিবাদী অবরােধে (pacific blockade) ন্যূনতম হিংসার আশ্রয় নেবার রীতি অনুসৃত হয়; উদ্দেশ্য হলো যুদ্ধ এড়ানাে এবং অন্যদেশের জাহাজের যাতে অবরােধে ক্ষতি না হয়। ইতিহাসে নানা দেশের অনেক অবরােধের নজির আছে। অনেক সময়ে শান্তি রক্ষার্থে বৃহৎ রাষ্ট্রগুলি অবরােধের পদ্ধতি প্রয়ােগ করে। ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে হেগ চুক্তি অনুযায়ী পূর্ব হতে সালিশির প্রয়াস ব্যতীত ঋণ উশুলের উপায় হিসেবে অবরােধ আইনবিরুদ্ধ। অবরােধ ভূখণ্ডেও হয়ে থাকে।

চিত্রের ইতিহাস: ভারতের নেপাল অবরোধের প্রতিবাদ, ওয়াশিংটন ডিসিতে ২২ নভেম্বর ২০১৫, আলোকচিত্র: S Pakhrin

তথ্যসূত্র:

১. গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরেন্দ্রমোহন. রাজনীতির অভিধান, আনন্দ পাবলিশার্স প্রা. লি. কলকাতা, তৃতীয় মুদ্রণ, জুলাই ২০১৩, পৃষ্ঠা ১৯-২০।

আরো পড়ুন:  Expansionist nature of India through the annexation of Sikkim

Leave a Comment

error: Content is protected !!