আদিম সাম্যবাদ হচ্ছে মার্কসবাদী মতে মানবসৃষ্ট সমাজের প্রথম রূপ

আদিম সাম্যবাদ

আদিম সাম্যবাদ (ইংরেজি: Primitive Communism) বা আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজ হচ্ছে কার্ল মার্কস এবং ফ্রিডরিখ এঙ্গেলসের কাছ থেকে উদ্ভূত একটি ধারণা। তাঁরা যুক্তি দেন যে ঐতিহ্যবাহী শিকারী-সংগ্রাহক গোষ্ঠী সমাজগুলি সমমাত্রিক সামাজিক সম্পর্ক এবং সাধারণ মালিকানার উপর ভিত্তি করে টিকে ছিল। মার্কসের আর্থ-সামাজিক কাঠামোসমূহের মডেলগুলিতে, আদিম সাম্যবাদের সাথে চলতি সমাজগুলিতে কোনো ক্রমান্বয়িক সামাজিক শ্রেণির গঠন বা পুঁজির সঞ্চয়ন ছিল না। আরো পড়ুন

সামন্তবাদ মানুষের সামাজিক আর্থিক বিকাশের একটি পর্যায়

সামন্তবাদ (ইংরেজি: Feudalism) মানুষের সামাজিক আর্থিক বিকাশের একটি পর্যায়। মানুষের সামাজিক বিকাশ তার জীবিকার উপায় এবং উৎপাদন সম্পর্কের বিকাশের ভিত্তিতে প্রধানত নির্দিষ্ট হয়। জমির কর্ষণ থেকে জীবন ধারণের প্রধান উপায় শস্য লাভের কৌশল মানুষের আয়ত্তে আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রাচীন দাস সমাজের ভাঙনের মধ্য দিয়ে নতুন সামন্ত সমাজের উদ্ভব হয়। আরো পড়ুন

সাম্রাজ্যবাদ হচ্ছে এক দেশ বা জাতি কর্তৃক অপর দেশ বা জাতির উপর প্রভুত্ব

সাধারণ দৃষ্টিতে সাম্রাজ্যবাদ (ইংরেজি: Imperialism) হচ্ছে একটি দেশ বা জাতি কর্তৃক অপর একটি দেশ বা জাতির উপর প্রভুত্ব ও শাসন কায়েম করা।[১] আধুনিক ইতিহাসে ইংরেজ, ফরাসি, স্পেনীয় ও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নাম বিশেষভাবে পরিচিত। অপরের উপর নিজের শাসন ও সভ্যতা বিস্তারের মারফত প্রভুত্ব কায়েম করা, অসম আচরণ ও অত্যাচার ও শোষণের মাধ্যমে অধীনস্থ জাতির উপর নিয়ন্ত্রণ স্থায়ী … Read more

উপনিবেশবাদ প্রসঙ্গে

উপনিবেশবাদ বা ঔপনিবেশিকতাবাদ (ইংরেজি: Colonialism) শব্দটি দ্বিতীয় সাম্রাজ্যবাদী মহাযুদ্ধোত্তরকালে বিশেষ করে বিশ শতকের দ্বিতীয়ার্ধে সাম্রাজ্যবাদ শব্দটির সমার্থে ব্যবহারবহুল হয়েছে। শব্দটির আভিধানিক অর্থ হলো যে সব অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মপন্থার সাহায্যে একটি সাম্রাজ্যশক্তি অন্যান্য দেশ কিংবা অধিবাসীদের উপর নিয়ন্ত্রণ, সম্প্রসারণ অথবা বিস্তার বজায় রাখে। আরো পড়ুন

সমর শিল্প বুর্জোয়ার শ্রেণিগত আধিপত্য সুদৃঢ়করণ ও সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারের শক্তি

প্রথম বিশ্ব যুদ্ধ চলাকালীন ব্যবহৃত অস্ত্র

সমর শিল্প বা সামরিক শিল্প (ইংরেজি: Arms Industry) বা সামরিক শিল্পের একত্রীকরণ হচ্ছে বৃহত সামরিক শিল্পের অগ্রাধিকার ও সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রযন্ত্রের সামরিক চক্রগুলোর সমরবাদী মিলন, যারা একচেটিয়া বুর্জোয়ার শ্রেণিগত আধিপত্য সুদৃঢ়করণ ও তা বিস্তারের স্বার্থে সামরিক শক্তির অবিরত বিকাশের পক্ষপাতী। সামরিক শিল্প মালিকরা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় একচেটিয়া পুঁজিবাদি ব্যবস্থার সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল ও আক্রমণাত্মক অংশ।[১] সমর শিল্প … Read more

স্বৈরতন্ত্র কাকে বলে

গ্রিক ভাষার ডেসপটিস কথার অর্থ স্বৈরতন্ত্র (ইংরেজি: Despotism)। প্রাচীন আমলে কথাটির অর্থ ছিলো পরিবার অথবা ক্রীতদাসদের মালিক বা প্রভু। কথাটি ক্রীতদাস সদৃশ জনগণের একচ্ছত্র শাসকের প্রতি এবং বর্তমানে যথেচ্ছাচারী স্বৈরতন্ত্রী সরকারের ক্ষেত্রে প্রযুক্ত হয়; বিশেষ করে যে সরকার কার্যত কোনো আইন, বিরোধী-পক্ষ অথবা প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না; ফলে ক্ষমতাসীনেরা যখন ও যেখানে ইচ্ছা অপরের অধিকার খর্ব করতে পারে। আরো পড়ুন

মার্কসের প্রাচ্য স্বৈরতন্ত্র এবং বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের ভিত্তি প্রসঙ্গে

সরকারের একচ্ছত্র শাসন, যথেচ্ছাচারী ক্ষমতা; বিশেষ করে যে সরকার কার্যত কোনো আইন, বিরোধী-পক্ষ অথবা প্রথা দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় না; এবং ক্ষমতাসীনেরা যখন ও যেখানে ইচ্ছা অপরের অধিকার খর্ব করতে পারে এমন শাসনকে যদি স্বৈরতন্ত্র বলি[১] তবে ভারতীয়, অটোমান এবং চীনা সাম্রাজ্যে প্রাচ্য স্বৈরতন্ত্রের গণবিরোধী ভূমিকা বিশাল। স্বৈরতন্ত্র বঙ্গে বা ভারতে এক অনিবার্য নিয়তি। আরো পড়ুন

সমাজ গণতন্ত্র হচ্ছে একটি সংস্কারবাদী বিপ্লববিরোধী মতবাদ

সমাজ গণতন্ত্র (ইংরেজি: Social democracy) হচ্ছে এমন একটি রাজনৈতিক মতবাদ যা সংস্কারবাদী এবং ধারাবাহিকতাবাদী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রীতিমাফিক কাজ করে।[১] আলাদাভাবে বললে সমাজ-গণতন্ত্রের সংজ্ঞা হচ্ছে এমন এক নীতির প্রশাসনপদ্ধতি যা পুঁজিবাদী অর্থনীতির কাঠামোর ভেতরে একটি বৈশ্বিক কল্যাণ রাষ্ট্র এবং যৌথ দরকষাকষির বিন্যাস। আরো পড়ুন

জ্ঞান হচ্ছে কারও বা কোনো কিছু সম্পর্কে একটি পরিচিতি, সচেতনতা বা উপলব্ধি

জ্ঞান অনুসরণ

জ্ঞান হচ্ছে অর্থনৈতিক ভিত্তির উপরিকাঠামো আবার এই জ্ঞান ভিত্তিকে প্রভাবিত করে এবং বদলেও ফেলে। জ্ঞান অর্থনৈতিক শোষণের একটি বাইপ্রোডাক্ট। যারা শোষণ তৈরি করতে পারেনি, তারা সভ্য হতে পারেনি, আদিম গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজে থেকে গেছে। গত ১০০০ বছরে শহরগুলো কেন শোষণের কেন্দ্র হয়েছে, কেন শহরগুলোর চেয়ে রাষ্ট্র বেশি শক্তিশালী হয়েছে, এই প্রশ্নের দিকে তাকালেই আমরা আরো পড়ুন

প্রলেতারিয়েত অষ্টাদশ শতক পরবর্তীকালের শ্রমশক্তি বিক্রিকারী শ্রমিক শ্রেণি

প্রলেতারিয়েত (ইংরেজিতে Proletariat) হচ্ছে পুঁজিবাদী সমাজের অন্যতম প্রধান শ্রেণি। প্রলেতারিয়েত হচ্ছে উৎপাদনের উপায় থেকে বঞ্চিত মজুরি শ্রমিকের শ্রেণি, যারা নিজ শ্রমশক্তি বিক্রয় করে জীবনধারণ করে এবং বুর্জোয়াদের দ্বারা শোষিত হয় সাম্যবাদী ও শ্রমিক শ্রেণির পার্টির নেতৃত্বে সামাজিক প্রগতি ও শান্তির লক্ষ্যে প্রলেতারিয়েত পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে সকল নিপীড়িত ও শোষিত জনগণের সংগ্রাম পরিচালনা করে।আরো পড়ুন

error: Content is protected !!