জনগণের সেবা

সভাপতি মাও সে-তুঙের উদ্ধৃতি
১৭. জনগণের সেবা

*** আমাদের বিনয়ী ও সতর্ক হতে হবে, অহংকার ও অসহিষ্ণুতার প্রতি সজাগ থাকতে হবে এবং মনেপ্রাণে চিনা জনগণের সেবা করতে হবে,…….।  “চীনের দুটি ভাগ্য” (২৩ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** মনেপ্রাণে জনগণের সেবা করা, এক মুহূর্তের জন্য জনসাধারণ থেকে বিচ্ছিন্ন না হওয়া; সব ব্যাপারই জনগণের স্বার্থ থেকে শুরু করা, ব্যক্তিগত স্বার্থ বা কোনো ক্ষুদ্র চক্রের স্বার্থ থেকে নয়; জনগণের প্রতি দায়িত্বকে পার্টির নেতৃস্থানীয় সংস্থার প্রতি আমাদের দায়িত্বের সঙ্গে এক করে মিশিয়ে ফেলা; এ সকলই হচ্ছে আমাদের কাজের প্রারম্ভিক বিন্দু। “যুক্ত সরকার সম্পর্কে” (২৪ এপ্রিল, ১৯৪৫)

*** রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর অবশ্যই গণতান্ত্রিক কেন্দ্রীকতা চালু করতে হবে এবং জনসাধারণের উপর নির্ভর করতে হবে, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোর কর্মীদের অবশ্যই জনগণের সেবা করতে হবে। “জনগণের ভেতরকার দ্বন্দ্বের সঠিক মীমাংসার সমস্যা সম্পর্কে” (২৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৫৭)

*** কমরেড বেথুন নিজের প্রতি লেশমাত্রও মনোযোগ না দিয়ে অপরের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন, তাঁর এই ভাব-মানস এটাই অভিব্যক্ত করে যে, তিনি কাজের প্রতি অত্যন্ত দায়িত্বশীল ছিলেন এবং কমরেড ও জনগণের সঙ্গে অত্যন্ত সহৃদয় ব্যবহার করতেন। প্রত্যেক কমিউনিস্টদেরই তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত।…

আমাদের সবারই তাঁর সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থ ভাব-মানস থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। এই ভাব-মানস গ্রহণ করলে সকলেই জনগণের পক্ষে খুব হিতকর হবেন। একজন মানুষের যোগ্যতা বেশি অথবা কম হতে পারে, কিন্তু এই ভাব-মানস থাকলেই তিনি হতে পারেন মহাপ্রাণ লোক, প্রকৃত লোক, নৈতিক চরিত্রসম্পন্ন লোক, নীচ রুচি থেকে মুক্ত লোক ও জনগণের জন্য হিতকর লোক। “নর্মান বেথুন স্মরণে” (২১ ডিসেম্বর, ১৯৩৯)

*** আমাদের কমিউনিস্ট পার্টি এবং কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে অষ্টম রুট বাহিনী ও নতুন চতুর্থ বাহিনী হচ্ছে বিপ্লবী বাহিনী। আমাদের এই বাহিনী সম্পূর্ণরূপে জনগণের মুক্তির জন্য এবং পুরোপুরিই জনগণের স্বার্থের জন্য কাজ করে। “জনগণের সেবা” (৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪)

আরো পড়ুন:  সংগ্রাম করতে সাহসী হও, বিজয় অর্জন করতে সাহসী হও

*** আমাদের সমস্ত কেডার, তাঁদের পদ যত উঁচু বা নীচু হোক না কেন, সবাই হচ্ছেন জনগণের সেবক এবং যা কিছু আমরা করি, তা জনগণের সেবার জন্য করি, তাই আমাদের নিজেদের মধ্যে যা খারাপ, তা আমরা কেন ত্যাগ করতে পারবো না? “১৯৪৫ সালের কর্তব্য” (১৫ ডিসেম্বর, ১৯৪৪)

*** আমাদের কর্তব্য হচ্ছে জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। প্রতিটি কথা, প্রতিটি কার্যকলাপ, প্রতিটি নীতি সবই জনগণের স্বার্থের অনুকূল হওয়া উচিত, যদি ভুল হয়, তাহলে অবশ্যই তা সংশোধন করতে হবে, এটাকেই বলে জনগণের প্রতি দায়িত্বশীল হওয়া। “জাপানবিরোধী যুদ্ধে বিজয়ের পরের পরিস্থিতি ও আমাদের নীতি” (১৩ আগস্ট, ১৯৪৫)

*** সংগ্রামে বলিদান অনিবার্য, মানুষের মৃত্যু স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা যদি জনগণের স্বার্থ এবং সংখ্যাধিক জনগণের দুঃখ দুর্দশা মনে রেখে জনগণের জন্য মৃত্যুবরণ করি, তাহলে আমাদের মৃত্যু সার্থক হবে। তবে আমাদের অনাবশ্যক প্রাণদানের সংখ্যা কমানোর জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করা উচিত। “জনগণের সেবা” (৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৪)

*** মানুষের মৃত্যু অবশ্যই হয়, কিন্তু মৃত্যুর তাৎপর্য ভিন্ন। প্রাচীন চীনে শিমা ছিয়েন নামক একজন সাহিত্যিক বলেছিলেন, “মানুষের মৃত্যু অনিবার্য, কিন্তু তার তাৎপর্য হবে থাই পাহাড়ের চেয়েও ভারী বা বেলে হাঁসের পালকের চেয়েও হাল্কা।” জনগণের জন্য যিনি মৃত্যুবরণ করেন, তাঁর মৃত্যু থাই পাহাড়ের চেয়েও ভারী; কিন্তু যে লোক ফ্যাসিস্টদের জন্য খাটে অথবা জনগণের শোষণকারী ও জনগণের অত্যাচারীদের জন্য মরে, তার মৃত্যু বেলে হাঁসের পালকের চেয়েও হাল্কা। ঐ

Leave a Comment

error: Content is protected !!