সঞ্জীবনী পাহাড়ে জন্মানো ভেষজ বিরুৎ

এটির মূল বা রাইজম মাটির উপরে সমান্তরালভাবে বাড়ে এবং তা থেকেই পাতা বেরোয়। পাতা ঝিরঝিরে, গাঢ় সবুজ এবং নরম। সহজেই শুকিয়ে যায়। শুকনো গাছ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখলে তা পুনরায় সজীব হয়ে ওঠে, হয়তো-বা এজন্য এর সঞ্জীবনী নামকরণ। অবশ্য এটির গুণপনাও দেহ-মনে জীবনীশক্তির সঞ্চার করা। এটির ফুল ও ফল হয় না। তাই বংশ-বিস্তারের জন্য স্পোর (spore) তৈরী হয়। সাধারণতঃ সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে স্পোরের সৃষ্টি হয় এবং তা থেকেই নতুন গাছ জন্মে।আরো পড়ুন  

আলু জনপ্রিয় ও পরিচিত বিরুৎ

আলু পরিচিত ও জনপ্রিয় খাবার। বাঙালির খাবারের তালিকায় আলুর ব্যবহার তুলনামূলক বেশী। আলু দিয়ে তরকারি যেমন খাওয়া হয় তেমনি নাস্তাও বানানো হয়। বাংলাদেশের আবহাওয়া আলু চাষের জন্য উপযোগী। বাজারে আলুর শাক ও বিভিন্ন ধরনের আলু পাওয়া যায়। গুণ বিচারে আলু যেমন অসাধারণ তেমনি এটি খাওয়ার সঠিক নিয়ম আছে। আলোচ্য লেখাতে তা উল্লেখ করা হলও।আরো পড়ুন

আলু ও শাক-এর নানাবিধ উপকারিতা

নানা কারণে এটির শিকার হতে হয় প্রায় প্রত্যেককেই কখনো না কখনো। এর পাল্লায় জীবনে পড়েননি, একথা হলফ করে কেউ বলতে পারবেন বলে মনে হয় না। যাই হোক, কোন প্রকার রোগে ভোগার পর কোষ্ঠকাঠিন্য হতে থাকলে এবং সেইসঙ্গে দুর্বলতা দেখা দিলে আলু ও আলু শাক কিভাবে ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন সেটা জেনে রাখা ভালো—আরো পড়ুন

চীনাবাদাম খাওয়ার উপকারিতা

চীনাবাদাম (Arachis hypogea) খাদ্য ও ভেষজ হিসেবে আমরা ব্যবহার করতে পারি। ব্যবহারের পূর্বে একটা দিকে বিশেষভাবে লক্ষ রাখা উচিৎ, সেটা হলো— হজমে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে কিনা। এটি সহজে হজম হতে চায় না। শুকনো বাদাম ভিজিয়ে খাওয়া যায়, আবার ভেজেও খাওয়া চলে। শুকনো বাদাম ভেজে ওপরের খোসা বাদ দিয়ে সরবত তৈরী করেও খাওয়া যায়।আরো পড়ুন

খুবানি ফল ও শাঁস-এর সাতটি ঔষধি ব্যবহার

মাঝে মাঝে পাতলা দাস্ত হয়, তা না হলে প্রায় প্রত্যহ দু’তিন বার করে আড়-পাতলা দাস্ত হতেই থাকে, সেটা আবার দীর্ঘদিন ধরে চলেছে, তখন সেক্ষেত্রে অনেক রকম রোগের সম্ভাবনা থেকে যায়। দীর্ঘদিন ধরে হজম ক্ষমতায় ব্যাঘাত ঘটলে, পেটে ক্রিমির উৎপাত হলে যেক্ষেত্রে এই অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে শুকনো খুবানী ফল একটি কিংবা দু’টি জলে মসৃণ করে বেটে তার সঙ্গে আধ কাপ জল মিশিয়ে সেটিকে ভালভাবে ছেঁকে নিংড়ে নিয়ে আরো পড়ুন

খুবানি শোভাবর্ধক ও উপকারী বৃক্ষ

মাঝারি ধরনের ঝোপঝাড় বিশিষ্ট গাছ। সাধারণতঃ ২০। ২৫ ফুট উঁচু হয়। পাতা গোল কিংবা ডিম্বাকৃতি, ২ থেকে ৪ ইঞ্চি লম্বা। ফুল গোলাপী সাদা। ফল কচি অবস্থায় রোমশ, পাকলে হলদে রঙের উপর লালের আভা, মসৃণ। শুকনো ফল তাজা অপেক্ষা উত্তম। এই ফল মধুর, অম্ল, অম্ল-মধুর ভেদে তিন প্রকার। ফলের মধ্যে বীজ থাকে এবং বীজের মধ্যে থাকে শাঁস। বীজের শাঁস অত্যধিক স্বাদযুক্ত। ঔষধার্থে ব্যবহার্য অংশ— ফল ও শাঁস।আরো পড়ুন

রজমা লতা-এর পাঁচটি ভেষজ গুণাগুণ

কোথাও কোথাও রজমার (Phaseolus vulgaris) কচি পাতার স্যালাড খাওয়ার রেওয়াজ আছে। পাতায় যথেষ্ট পরিমাণে ক্যারোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিকোটিনিক এসিড, ফলিক এসিড বিদ্যমান। একাধারে আহার ও ঔষধি গুণসম্পন্ন হওয়ায় আমাদের জীবনে রাজমার ভূমিকা বিশাল। কাঁচা ফল ও শুকনো বীজকে কিভাবে ভেষজ হিসেবে ব্যবহার করা যায়।আরো পড়ুন

রাজমা লতানো বর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ

এর আদি বাসস্থান নিয়ে মতভেদ আছে। কোনো কোনো উদ্ভিদ-বিজ্ঞানীর মতে উষ্ণ-প্রধান আমেরিকার অঞ্চলসমূহ, আবার কারো ধারণা দক্ষিণ মেক্সিকো ও মধ্য আমেরিকা এটির আদি বাসভূমি। তবে আদি বাসস্থান যেখানেই হোক না কেন, বর্তমানে সমগ্র পৃথিবীর গ্রীষ্ম-প্রধান অঞ্চলে রাজমার চাষ হয়। অপেক্ষাকৃত গরম অথচ স্যাঁতসেঁতে জায়গায় এটি ভালভাবে জন্মে।আরো পড়ুন

সফেদা খাওয়ার ছয়টি উপকারিতা

কাঁচা সফেদায় (বৈজ্ঞানিক নাম: Manilkara zapota) দুধের মতো এক প্রকার আঠা বেরোয় এবং সেটিতে সামান্য ট্যানিন আছে। পাকা ফল স্বাদে মধুর, তৃপ্তিদায়ক, অধিক পরিমাণে শর্করা সমৃদ্ধ। গাছের ছাল বলকারক ও জ্বরনাশক। বীজ মূত্রকারক ও মৃদু বিরেচক।

রোগ প্রতিকারে এই সুমিষ্ট ফলটিকে কিভাবে ব্যবহার করবেন। মনে রাখবেন— সুপক্ব ও সুমিষ্ট ফলই ব্যবহার্য, কাঁচা ফল খাবেন না। মধুমেহ (Diabetes mellitus) রোগে যাঁরা ভুগছেন, তাঁরা লোভের বশবর্তী হয়ে ভুলেও সপেটা খাবেন না।আরো পড়ুন

ইসবগুল-এর ছয়টি উপকারিতা

এটি সাময়িকভাবে যেমন আসতে পারে, তেমনি দীর্ঘদিন ধ’রে থাকতে পারে। পুরাতন কোষ্ঠবদ্ধতায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা অন্যান্য অনেক প্রকার রোগের কবলে পড়ে যান। যেমন অর্শ, দীর্ঘস্থায়ী পেটের গোলমাল প্রভৃতি। সাধারণতঃ নানা প্রকার জ্বর ও অন্যান্য কিছু কিছু রোগে ভোগার সময় কিংবা দীর্ঘ সময় যানবাহনে যাত্রা করার ফলে,

error: Content is protected !!