রুশ সাহিত্যের ব্যক্তিত্ব তলস্তয় নিজের লেখায় দেখিয়েছেন রুশ প্রাক-বৈপ্লবিক জীবন

কাউন্ট লিও তলস্তয় বা টলস্টয়কে (ইংরেজি:Lev Nikolayevich Tolstoy; ২৮ আগস্ট ১৮২৮ – ২০ নভেম্বর ১৯১০) রুশ সাহিত্যের অন্যতম ব্যক্তিত্ব হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নিজের লেখা গল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধে তলস্তয় দেখিয়েছেন ১৯০৫ সালের প্রথম রুশ প্রাক-বৈপ্লবিক রাশিয়ার জীবন। তিনি তার লেখায় ফুটিয়ে তুলেছেন সেই সময়ের পরস্পরবিরোধী পরিস্থিতি আরো পড়ুন

অনুপ সাদি বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক ও আলোকচিত্রী

অনুপ সাদি

অনুপ সাদি (জন্ম: ১৬ জুন, ১৯৭৭) বাংলাদেশের একজন লেখক, কবি, প্রাবন্ধিক, সম্পাদক, প্রকৃতিপ্রেমি, আলোকচিত্রী এবং সাম্যবাদী ধারার চিন্তাবিদ। তিনি সমাজতন্ত্র, সাম্যবাদ, মার্কসবাদ, গণতন্ত্র, সংস্কৃতি, সাহিত্য, পরিবেশ বিষয়ে লেখালেখি করছেন। আরো পড়ুন

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ের পথের পথিকদের আলোকবর্তিকা

সিরাজুল ইসলাম

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম: ২৩ জুন, ১৯৩৬) , আমাদের SIC স্যার, ছিলেন আমাদের কালের শ্রেণিসংগ্রামের লড়াইয়ের পথের পথিকদের এক অগ্রগামী আলোকবর্তিকা। তিনি ২০০১ সালের ৩০ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা জীবন থেকে অবসরে গিয়েছিলেন। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক, আরো পড়ুন

পল লাফার্গ ছিলেন বিপ্লবী মার্কসবাদী, সাহিত্য সমালোচক এবং রাজনৈতিক লেখক

পল লাফার্গ (ইংরেজি: Paul Lafargue) ছিলেন একজন ফরাসি বিপ্লবী মার্কসবাদী সমাজতান্ত্রিক সাংবাদিক, সাহিত্য সমালোচক, রাজনৈতিক লেখক এবং কর্মী। তাঁর জন্ম ফরাসি দেশে। কার্ল মার্কসের জামাতা পল লাফার্গ লরা মার্কসকে বিবাহ করেছিলেন। লাফার্গ মার্কসবাদকে ব্যাখ্যা করে বহু পুস্তক রচনা করেন। ‘রিলিজিয়ন অব ক্যাপিটাল’ বা পুঁজিবাদের ধর্ম ‘বর্বরযুগ হতে সভ্যতা পর্যন্ত সভ্যতার বিকাশ’ ‘আদম হাওয়ার উপাখ্যান’, ‘নবম … Read more

উইলিয়াম গডউইন ছিলেন ইংল্যাণ্ডের রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং ঔপন্যাসিক

উইলিয়াম গডউইন (ইংরেজি: William Godwin; ৩ মার্চ ১৭৫৬ – ৭ এপ্রিল ১৮৩৬ খ্রি.) ছিলেন ইংল্যাণ্ডের একজন রাজনৈতিক চিন্তাবিদ এবং ঔপন্যাসিক। কবি শেলী তাঁর জামাতা ছিলেন। গডউইনের খ্যাতি এ কারণে যে, তিনি জীবনের প্রথম দিকে একজন ধর্মযাজক থাকলেও ফরাসি দার্শনিকদের রচনা পাঠে প্রভাবিত হয়ে তিনি ক্রমান্বয়ে ধর্ম সম্পর্কে সমালোচনাবাদী হয়ে ওঠেন এবং গ্রন্থ রচনায় আত্মনিয়োগ করেন। … Read more

সৈয়দ মুজতবা আলী বিশ শতকের শ্রেষ্ঠ রম্য রচয়িতা

সৈয়দ মুজতবা আলীর জন্ম ১৯০৪ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর তৎকালীন শ্রীহট্ট জেলার (বর্তমানে সিলেট) করিমগঞ্জে (বর্তমানে ভারতের অন্তর্ভুক্ত)। পিতা–খান বাহাদুর সৈয়দ সিকান্দর আলী, মাতা-আমতুল মন্নান খাতুন। পিতা সিকান্দর আলী ডাক বিভাগে ‘পেইড এপ্রেন্টিস’ হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে কর্মদক্ষতা ও যোগ্যতাবলে স্পেশাল সাব রেজিস্ট্রারের পদ লাভ করেন। সৈয়দ মুজতবা আলী ছিলেন পিতামাতার তৃতীয় সন্তান। শৈশব কৈশোর থেকেই তিনি ছিলেন সাহসী, জেদি আর প্রতিভাদীপ্ত। আরো পড়ুন

নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন কথাসাহিত্যিক, গবেষক ও সমালোচক

কথাশিল্পী নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়র প্রকৃত নাম তারকনাথ গঙ্গোপাধ্যায়। ১৯১৮ সালের ০৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুরের বালিয়াডাঙ্গিতে জন্মগ্রহণ করেন। পিতৃভূমি বরিশালের বাসুদেবপুরের নলচিরায়। ছেলেবেলায় তাঁর ডাক নাম ‘নাড়’। সুনন্দ’ তাঁর ছদ্মনাম। বাবা প্রমথনাথ গঙ্গোপাধ্যায় ছিলেন পুলিশের দারোগা। মা বিন্ধ্যবাসিনী দেবী। বাবা-মায়ের অষ্টম সন্তান তিনি। তাঁর দুই অগ্রজ শিশু বয়সেই মারা যায়। বাকি আট ভাইবোন হলেন সতীরানী, নিখিলনাথ, ননীবালা, পুঁটুরানী, শেখরনাথ, তারকনাথ (নারায়ণ), বীণা ও কমলা। আরো পড়ুন

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ শতকের বাংলা সাহিত্যে কথাসাহিত্যিক

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের পূর্বপুরুষের আদিনিবাস ছিল পশ্চিম চব্বিশ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার পানিতর গ্রামে। তাঁর পিতামহ তারিণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় পিতৃগ্রাম পরিত্যাগ করে স্থায়ীভাবে চলে আসেন অবিভক্ত বাংলার যশোর জেলার বারাকপুর গ্রামে। বর্তমানে এই বারাকপুর গ্রাম পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায়। ইছামতী-লালিত সবুজ-সমৃদ্ধ গ্রাম বারাকপুর। লোকে বলে চালকি-বারাকপুর। চালকি পাশের গ্রাম। কলকাতার উপকণ্ঠে অবস্থিত ব্যারাকপুর থেকে আলাদা করে বোঝানোর জন্যেই এই নামকরণ—চালকি-বারাকপুর। তারিণীচরণের শ্বশুরবাড়ির সূত্রে কিছু আত্মীয়-স্বজন এই গ্রামের আশপাশে ছড়িয়ে ছিলেন। গ্রামগুলো হলো সাইলেপাড়া, শিমুলিয়া, শিলহাটি, মোল্লাহাটি, সুন্দরপুর, মাধবপুর, দুর্গাপুর, নিশ্চিন্দিপুর ইত্যাদি। আরো পড়ুন

বলাইচাঁদ মুখোপাধ্যায় বাংলা সাহিত্যে জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক

একটি উদার এবং রুচিশীল পারিবারিক পরিমণ্ডলের সমৃদ্ধ উত্তরাধিকারী ছিলেন শিল্পী বনফুল। তার পিতামহ কেদারনাথ ছিলেন সঙ্গীতজ্ঞ এবং তান্ত্রিক কালীসাধক। বনফুলের পিতা সত্যচরণ মুখোপাধ্যায়ের জীবনের প্রাথমিক পর্যায় খুব একটা মসৃণ ছিল না। বাল্যকালেই মাতৃহীন হয়ে মামা-বাড়িতে মানুষ হন তিনি। ফলে জীবনকে তিনি পর্যবেক্ষণ করেছেন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে শেষপর্যন্ত চিকিৎসক হিসেবে তিনি কর্মক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত হন। সত্যচরণ মুখোপাধ্যায় ছিলেন শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিত্ব। আরো পড়ুন

সুবোধ ঘোষ একজন বাংলা কথাসাহিত্যিক

সুবোধ ঘোষ (জন্ম: ১৯০৯ – মৃত্যু: ১০ মার্চ, ১৯৮০) একজন বাংলা কথাসাহিত্যিক। বাংলাভাষী পাঠকসমাজে সুবোধ ঘোষ এখনও অনেক প্রাসঙ্গিক। বিশেষ করে তার সৃষ্ট ‘অযান্ত্রিক’ এবং ‘ফসিল’-এর মতো দুটি গল্পের জন্য বাংলা সাহিত্যের যুগান্তকারী স্থান অধিকার করে আছেন। সুবোধ ঘোষের জন্ম বিহারের (বর্তমান ঝাড়খণ্ডের) হাজারিবাগের এক নিম্নমধ্যবিত্ত কায়স্থ পরিবারে, ১৯০৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর। চার পুরুষের বসতি তৎকালীন ঢাকা জেলার বিক্রমপুরে হলেও তার বাবা ছেলেকে আশৈশব বড়ো করে তুলেছিলেন হাজারিবাগে। জেলখানার অধস্তন চাকুরে শ্রী সতীশচন্দ্র ঘোষ ও শ্রীমতী কনকলতাদেবীর সাত সন্তানের মধ্যে সুবোধ ঘোষ দ্বিতীয়। আরো পড়ুন

error: Content is protected !!